জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে যৌথভাবে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ হিসাব দেওয়া হয়েছে।
Published : 19 Feb 2025, 05:21 PM
১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠন করতে প্রয়োজন হবে ৫ হাজার কোটির বেশি মার্কিন ডলার। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংক, জাতিসংঘ ও ইইউ পরিচালিত ‘দ্য গাজা অ্যান্ড ওয়েস্ট ব্যাংক ইন্টেরিম র্যাপিড ড্যামেজ অ্যান্ড নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ (আইআরডিএনএ) মঙ্গলবার খরচের এই হিসাব দিয়েছে।
তাদের হিসাবমতে, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ৪ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গবেষকরা হিসাব-নিকাশ করে বলেছেন, গাজা পুনর্গঠনে এখন আগামী ১০ বছরে ৫ হাজার ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এর মধ্যে কেবল প্রথম তিন বছরেই দরকার হতে পারে প্রায় দু’হাজার কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিপুল খরচ জোগাতে বেশকিছু দাতা ও অন্যান্য আর্থিক উৎস ও প্রাইভেট খাতের সম্পদ থেকে তহবিল দরকার হবে। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে গাজায় নির্মাণের জিনিসপত্র সরবরাহ ব্যবস্থাও উন্নত হতে হবে।
আইআরডিএনএ বলেছে, গাজায় ধ্বংস হয়েছে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৯২,০০০’রও বেশি ঘরবাড়ি। ৯৫ শতাংশ হাসপাতালই হয়ে পড়েছে অকার্যকর। স্থানীয় অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৮৩ শতাংশ।
গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় মোট তহবিলের অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ, ২ হাজার ৯৯০ কোটি ডলার খরচ হবে ধসে যাওয়া বাড়িঘর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে। আর গাজার ধ্বংস হয়ে যাওয়া আবাসিক হাউজিংগুলো নতুন করে গড়ে তুলতে খরচ হবে ১ হাজার ৫২০ কোটি ডলার।
আরও ১ হাজার ৯১০ কোটি ডলার খরচ হবে গাজার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে। যার মধ্যে আছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য ও ধসে পড়া শিল্প খাত।
তাছাড়াও, গাজা পুনর্গঠন কর্মসূচির আওতায় রয়েছে বছরের পর বছর ধরে অবিস্ফোরিত বোমা পরিষ্কার করাসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তপ সরানোর কাজও।