ইতিহাস বলে, ট্রাম্প মিত্রদের হুমকি দিতে এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে লেনদেন করার সময় আক্রমণাত্মক উক্তি ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করেননি।
Published : 22 Dec 2024, 02:33 PM
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, পানামা খাল ব্যবহারের জন্য পানামা মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া রাখছে। তিনি আরও বলেছেন, পানামা যদি খালটি গ্রহণযোগ্যভাবে পরিচালনা করতে না পারে তাহলে তিনি এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের জন্য মিত্র দেশটির কাছে দাবি জানাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
পোস্টে তিনি সতর্ক করে বলেন, খালটিকে তিনি ‘ভুল হাতে’ পড়তে দেবেন না।
তিনি এর মাধ্যমে জলপথটির ওপর চীনের সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়ে সতর্ক করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে; কারণ তিনি লিখেছেন, খালটি চীনের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া উচিত হবে না।
রয়টার্স লিখেছে, ট্রাম্পের এই পোস্ট একটি অত্যন্ত বিরল উদাহরণ যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের একজন নেতা বলছেন তিনি একটি সার্বভৌম দেশকে ভূখণ্ড হস্তান্তর করার জন্য চাপ দিতে পারেন। তার এ মন্তব্যে ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির একটি প্রত্যাশিত পরিবর্তন হবে, এ সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে।
ইতিহাস বলে, ট্রাম্প মিত্রদের হুমকি দিতে এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে লেনদেন করার সময় আক্রমণাত্মক উক্তি ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করেননি।
খালটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রই নির্মাণ করেছিল এবং কয়েক দশক ধরে জলপথটির সংলগ্ন অঞ্চল শাসন করেছিল। কিন্তু যৌথ প্রশাসনের একটি সময়কালের পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৯৯৯ সালে খালটির নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরিভাবে পানামার কাছে হস্তান্তর করে।
“পানাম যে ভাড়া রাখে তা অযৌক্তিক, বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্র পানামাকে যে অসাধারণ উদারতা দেখিয়ে এটি দিয়েছে তা জানা সত্ত্বেও,” ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে লিখেছেন ট্রাম্প।
“এটা অন্যের সুবিধার জন্য দেওয়া হয়নি, এটি শুধু আমাদের সঙ্গে পানামার সহযোগিতার নিদর্শন হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যদি নৈতিক ও আইনি, উভয় দিক থেকে নীতিগতভাবে এই উদার দানের বিষয়টিকে অনুসরণ করা না হয়, তাহলে পানামা খাল আমাদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করবো আমরা, পুরোপুরি, কোনো প্রশ্ন ছাড়াই,” বলেন তিনি।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ওয়াশিংটনের পানামানিয়ান দূতাবাসকে রয়টার্সের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।