ইরানে নারীদের আন্দোলনে নিহতদের নাম নিতে নিতে নিজের মাথার চুল কেটে ফেলার ভিডিও প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ-ইরানি নাজানিন জাঘারি-র্যাটক্লিফ।
ইরানে চলমান আন্দোলনে নারীদের হিজাব পুড়িয়ে ফেলতে এবং নিজের চুল কেটে ফেলতে দেখা যাচ্ছে অনেক ভিডিওতে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, পারস্যে এটা প্রতিবাদের ঐতিহাসিক প্রতীক।
ইরানে ছয় বছর জেল খেটেছেন ত্রাণকর্মী নাজানিন জাঘারি-র্যাটক্লিফ। তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছিল ইরান সরকার। তবে তিনি ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরাবর।
দীর্ঘদিনের আন্দোলন এবং দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর গত মার্চে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলে যুক্তরাজ্যে ফেরেন এই নারী।
বিবিসি প্রকাশিত ভিডিওর শেষ দিকে নাজানিন জাঘারি-র্যাটক্লিফ বলেন, ”আমার মায়ের জন্য, আমার কন্যার জন্য, কারাগারে নিঃসঙ্গ বন্দিত্ব কাটানোর ভয়ের জন্য, আমার দেশে স্বাধীনতার দাবিতে লড়তে থাকা নারীদের জন্য…।”
হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানে আটক হয়েছিলেন মাইশা আমিনি। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান এই তরুণী।
তার মৃত্যুতে সরকার বিরোধী আন্দোলন ফুঁসে ওঠে ইরানে; যা ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির ৮০টির বেশি শহরে।
নরওয়েভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা বলছে এখন পর্যন্ত ইরানের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৭৬ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
প্রাণহানির জন্য আন্দোলনকারীদের দায়ী করে ইরান অবশ্য এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ৪১ জনের মৃত্যুর কথা বলছে।
গত কয়েক সপ্তাহে শত শত আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।