জাপোরিজিয়া পরমাণু ক্ষেত্রের প্রধান রাশিয়ার হাতে আটক

ইউক্রেইনের চার অঞ্চল জাপোরিজিয়া, খেরসন, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন।

নিউজ ডেস্ক
Published : 1 Oct 2022, 04:03 PM
Updated : 1 Oct 2022, 04:03 PM

রুশ বাহিনী ইউক্রেইনের জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালক ইহোর মুরাশভকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির পরমাণু নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনারহোয়াতম।

এনারহোয়াতমের প্রেসিডেন্ট শনিবার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন বলে জানায় বিবিসি।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে (জিএমটি ১৩:০০) ইহোর মুরাশভকে তার গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ওই সময় নিজের গাড়িতে করে জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কাছের শহর এনারহোদারে যাচ্ছিলেন।

Also Read: ইউক্রেইনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করার ঘোষণা পুতিনের

চোখবাঁধা অবস্থায় তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

গত মার্চে রাশিয়া ইউরোপের সর্ববৃহৎ এ পরমাণু বিদ্যুৎ ক্ষেত্রটির দখল নেয়। যদিও ইউক্রেইনের কর্মীরাই এখনো সেটি পরিচালনা করছে।

রাশিয়া এবং ইউক্রেইন উভয়ও জাপোরিজিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গোলা বর্ষণের দায় একে অন্যের উপর চাপিয়েছে।

গোলা বর্ষণে পরমাণু ক্ষেত্রটির বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে এবং ইউরোপ জুড়ে তেজষ্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পাড়তে পারে বলে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বার বার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

মুরাশভ পরমাণু বিদ্যুৎ ক্ষেত্রটির ‘পারমাণবিক এবং বিকিরণ সুরক্ষা বিষয়ক প্রধান এবং এ বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন’ বলেও শনিবারের বিবৃতিতে জানান এনারহোয়াতমের প্রেসিডেন্ট পেত্রো কোতিন।

বলেন, ‘‘মুরাশভকে আটক করার মধ্য দিয়ে ইউক্রেইন এবং ইউরোপের বৃহ্ত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পরিচালনা বিষয়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বিপন্ন করে তোলা হয়েছে।’’

তিনি একে রাশিয়ার ‘পরমাণু সন্ত্রাস’ বলে উল্লেখ করে ইন্টারন্যাশনাল অটোমেটিক এনার্জি এজেন্সির কাছে দ্রুত মুরাশভের মুক্তির দাবি জানানোর অনুরোধ করেছেন।

ছয়টি পরমাণু চুল্লি বিশিষ্ট জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এনারহোদার শহরের কাছে অবস্থিত। এটি ইউক্রেইনের দক্ষিণের জাপোরিজিয়া অঞ্চলের রুশ অধিকৃত অংশে পড়েছে।

শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জাপোরিজিয়া, খেরসন, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

যদিও ইউক্রেইনের পূর্ব ও দক্ষিণের ওই চার অঞ্চলের পূর্ণ দখল এখনো রাশিয়া পায়নি।