ইউক্রেইনের দক্ষিণের নগরী মিকোলেইভে রাশিয়ার ব্যাপক গোলাবর্ষণে দেশটির অন্যতম এক ধনকুবের ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন।
ইউক্রেইনের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, শনিবার রাতে রাশিয়ার ছোড়া একটির ক্ষেপণাস্ত্র ওলেক্সি ভাদাতুরস্কির (৭৪) বাড়িতে আঘাত হানলে তিনি এবং তার স্ত্রী রাইসা নিহত হন।
ভাদাতুরস্কি শস্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠান ‘নিবুলন’ ইউক্রেইন থেকে শস্য রপ্তানি করে। তিনি ‘হিরো অব ইউক্রেইন’ পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মাইকোলাইভে শনিবারের বোমাবর্ষণ নিয়ে নগরীর মেয়র ওলেকসান্দার সেনকেভিচ বলেন, ‘‘সম্ভবত নগরীতে এখন পর্যন্ত এটাই সবথেকে ভারি গোলাবর্ষণের ঘটনা।”
বাড়িঘর ছাড়াও এদিন একটি হোটেল, একটি খেলার মাঠ, দুটো স্কুল এবং একটি সার্ভিস স্টেশন গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইউক্রেইনের প্রধান সমুদ্র বন্দর ওদেসা যাওয়ার মূল পথেই মিকোলাইভ নগরীর অবস্থান। ভাদাতুরস্কি নগরীর উন্নয়নে অনেক কিছু করেছিলেন বলে জানান ওই অঞ্চলের নেতা ভিতালি কিম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘এ অঞ্চলের কৃষি ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়নে এবং সর্বপরি এই অঞ্চলের অগ্রগতিতে তার অবদান অমূল্য।”
শস্য রপ্তানি খাতে উন্নয়নের জন্য নিবুলন অনেক গুদাম এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করেছে।
গমসহ অন্য শস্য রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর অন্যতম রাশিয়া ও ইউক্রেইন। এই দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ফলে বিশ্ববাজারে শস্যের যোগানে যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে তাতে পুরো বিশ্বে শস্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট কিছুটা কমিয়ে আনতে জতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত সপ্তাহে তুরস্কে চুক্তি সই করেছে ইউক্রেইন ও রাশিয়া। যাতে ইউক্রেইন থেকে নিরাপদে শস্য বের করে আনা যায়।
নিরাপত্তা তল্লাশির কারণে ইউক্রেইন থেকে শস্য রপ্তানি কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। তবে রোববার তুরস্ক বলেছে, সোমবার সকাল নাগাদ শস্যের প্রথম চালান ওদেসা বন্দর ত্যাগ করতে পারে।