“মানুষ এক অখণ্ড সত্তার অংশ, সৃষ্টিতে তাদের মূল এক ও অভিন্ন। যদি একজন ব্যথিত হয়, তবে অন্যরাও স্বস্তিতে থাকতে পারে না,” ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া মধ্যস্থতা প্রস্তাবের সঙ্গে ‘বনি আদম’ কবিতার এ চরণগুলো জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
Published : 26 Apr 2025, 02:37 PM
কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান ও সৌদি আরব।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রস্তাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ দুটির সঙ্গে তেহরানের কয়েক শতাব্দী পুরনো ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের’ কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন, সঙ্গে ত্রয়োদশ শতাব্দীর একটি ফার্সি কবিতারও কয়েকটি চরণও উদ্ধৃত করেছেন, জানিয়েছে এনডিটিভি।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশকেই ‘ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী’ বলে সম্বোধন করেছেন।
“ভারত ও পাকিস্তান ইরানের ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী, যাদের সঙ্গে সম্পর্ক শতাব্দীপ্রাচীন সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার বন্ধনে গাঁথা। অন্যান্য প্রতিবেশীর মতো, তাদের প্রতিও আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকে। এই কঠিন সময়ে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে তেহরান মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত,” বলেছেন তিনি।
এই মন্তব্যের সঙ্গেই তিনি জুড়ে দিয়েছেন ‘বনি আদম’ কবিতার কয়েকটি চরণ, যেখানে বলা হচ্ছে, “মানুষ এক অখণ্ড সত্তার অংশ, সৃষ্টিতে তাদের মূল এক ও অভিন্ন। যদি একজন ব্যথিত হয়, তবে অন্যরাও স্বস্তিতে থাকতে পারে না,”
ত্রয়োদশ শতাব্দীর বিখ্যাত এই ফার্সি কবিতার লেখক ইরানি কবি সাদি শিরাজি।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ২০০৯ সালে ইরানি জনগণকে নওরোজের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বনি আদম বা ‘আদমের পুত্ররা’ নামের এই কবিতার চরণ উদ্ধৃত করেছিলেন।
কেবল ইরানই নয়, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতাকারী হতে প্রস্তাব দিয়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এরই মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোনও করেছেন, জানিয়েছে রিয়াদ।
“সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা ও এর সঙ্গে সীমান্তের ওপারের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে,” এক বিবৃতিতে বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।