গত ১৯ জানুয়ারিতে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ‘অবৈধ’ যুক্তিতে তা বাতিলের জন্য আপিল করেছিলেন ইউনের আইনজীবীরা। আদালত আপিলের পক্ষে রায় দিয়েছে।
Published : 07 Mar 2025, 06:18 PM
দক্ষিণ কোরিয়ায় সিউল সেন্টাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের রায়ে অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের জেল মুক্তির পথ সুগম হয়েছে। আদালত ইয়ুনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করেছে।
গত ১৯ জানুয়ারিতে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় ইয়ুনকে আটক রাখার মেয়াদ বেড়েছিল। ইউনের আইনজীবীরা তখন সেই পরোয়ানা অবৈধ বলে যুক্তি দেখিয়ে তা বাতিলের জন্য আদালতে আপিল করেন।
শুক্রবার সেই আপিলের পক্ষেই রায় দিয়ে আদালত জানিয়েছে, ইউনকে আটক রাখাটা অন্যায়।
রায়ে বলা হয়, “সব যুক্তি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ইউনকে আটকে রাখার সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। প্রক্রিয়াগত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং তদন্ত প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে সন্দেহ দূর করতে ইউনের আটকাদেশ বাতিল করাটাই ন্যায়সঙ্গত।”
আদালতের এই রায়ের পর এক বিবৃতিতে ইয়ুনের আইনজীবী বলেছেন, “গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের আদালতের সিদ্ধান্ত দেখিয়ে দিয়েছে যে, দেশে আইনের শাসন এখনও আছে।”
তবে এই রায়ের ফলে ইয়ুনের বিরুদ্ধে থাকা অপরাধের অভিযোগ বাতিল হয়নি। যে অভিযাগের কারণে গত ১৫ জানুয়ারিতে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাছাড়া, এই মামলা ইউনের অভিশংসন থেকে আলাদা।
অভিশংসন নিয়ে শুনানি হওয়ার বিষয়টি সাংবিধানিক আদালতে ঝুলে আছে। ওই শুনানিতেই নির্ধারিত হবে যে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ বৈধতা পাবে কি না।
ইতোমধ্যেই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ইউন। এ সিদ্ধান্ত স্থায়ী হবে কি না সেটিই জানা যাবে সাংবিধানিক আদালতের রায়ে।
ইউন সুক ইওল হঠাৎ করেই দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন জারি করার পর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। তবে সামরিক শাসন জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রচণ্ড বিরোধিতার মুখে সেটি তিনি বাতিল করতে বাধ্য হন।
পরবর্তীতে ইউনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান উসকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর ১৫ জানুয়ারিতে তিনি গ্রেপ্তার হন।