Published : 30 Mar 2025, 02:25 PM
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে দুই দিন আগে উৎপত্তি হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে হাজার মাইল দূরের ব্যাংককে নির্মাণাধীন ৩৩তলা একটি ভবন ভেঙে পড়ে। ভবনটির ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
রোববার সকালে ব্যাংককের মেট্রোপলিটন কর্তৃপক্ষ জানায়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে আর এখনও পর্যন্ত ৮৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ব্যাংককের ডেপুটি গভর্নর থাভিদা কমলভেজ জানিয়েছেন, ধসে পড়া ভবনটির পাহাড় সমান ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ‘প্রাণের কোনো লক্ষণ আছে কি না’ তা নিশ্চিত হতে ও নড়াচড়া শনাক্ত করতে উদ্ধারকর্মীদের দলগুলো এক্স-রে মেশিন ব্যবহার করছে।
৭ দশমিক ৭ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ১৬৪৪ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
যারা এখনও ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছেন তাদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিভিন্ন স্থাপনার মধ্যে মান্দালয়ের একটি প্রাক বিদ্যালয়ও রয়েছে। এই বিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কয়েক ডজন শিশু চাপা পড়েছে।
এদিকে মিয়ানমারের চীন দূতাবাস জানিয়েছে, দেশটিতে হওয়া ভূমিকম্পে ১২ জন চীনা নাগরিক আহত হয়েছেন।
দরিদ্র, গৃহযুদ্ধকবলিত মিয়ানমারে গত ২০ বছরের মধ্যে এত তীব্র ও প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আর দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন ভূমিকম্প-বিশেষজ্ঞরা। ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের পার্শ্ব ঘর্ষণে উৎপত্তি হওয়া এ ভূমিকম্পে দেশটির প্রধান প্রধান সেতু ও মহাসড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পে মিয়ানমার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হলেও প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছ
দ্বিতীয় রাতেও বাইরে ঘুমালেন মিয়ানমারের রাজধানীর বাসিন্দারা