আস্থা ভোটে জিতে নতুন জোট গড়ার পথে নেপালের প্রধানমন্ত্রী

বিরোধীদল নেপালি কংগ্রেস পার্টিসহ অন্যান্য ছোট দলগুলোর সমর্থন পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল।

রয়টার্স
Published : 20 March 2023, 05:13 PM
Updated : 20 March 2023, 05:13 PM

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে জিতে গেছেন। বিরোধীদল নেপালি কংগ্রেস পার্টিসহ অন্যান্য ছোট দলগুলোর সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

তার নতুন মন্ত্রিসভায় এখন এই দলগুলো সামিল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রচণ্ডের পুরোনো জোট শরিকরা গতমাসে সরকার থেকে বেরিয়ে গেছে। প্রচণ্ড দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট পদে বিরোধীদলীয় একজন প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার প্রতিবাদে শরিকরা জোট ছাড়ে।

কোনও শরিক দল সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে প্রধানমন্ত্রীকে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়।

প্রচণ্ড এই আস্থা ভোটে নেপালি কংগ্রেস পার্টি এবং মাওবাদী সেন্টার পার্টিসহ অন্য আরও ৯ টি ছোট দলের সমর্থন পেয়েছেন। এই দলগুলোকে নিয়ে এ সপ্তাহেই তিনি নতুন জোট গড়বেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সোমবার প্রচণ্ড ২৭৫ আসনের পার্লামেন্টে তার পক্ষে ১৭২ ভোট পেয়েছেন এবং বিপক্ষে পড়েছে ৮৯ ভোট। পার্লামেন্টের স্পিকার দেবরাজ একথা জানিয়েছেন।

আস্থা ভোটের এই ফল আসার পর প্রচণ্ড টুইটারে লিখেছেন, “আমি সামাজিক ন্যায়বিচার, সুশাসন এবং সমৃদ্ধির জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করছি।”

৬৮ বছর বয়সী প্রচণ্ড গতবছর ডিসেম্বরে লিবারেল কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট (ইউএমএল) পার্টি এবং রাজতন্ত্রীদের একটি জোটের নেতৃত্ব নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী হন।

গতমাসে প্রচণ্ড ৯ মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে বিরোধীদল থেকে রামচন্দ্র পাওদেলকে সমর্থন দেওয়ার পরিকল্পনা জানানোর পরই উপ-প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য আরও তিন মন্ত্রী পদত্যাগপত্র দেওয়ায় টালমাটাল হয়ে পড়ে ক্ষমতাসীন জোট সরকার।

ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোটে চলমান তিক্ত সংকটের মধ্যেই গত ৯ মার্চ নেপালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রাম চন্দ্র পাওদেল। এই পদটি অলঙ্কারিক।

পরোক্ষভাবে এই নির্বাচন করা হয়ে থাকে। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সদস্য এবং সাতটি প্রদেশের বিধানসভা সদস্যদের নিয়ে তৈরি ইলেক্টোরাল কলেজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়। 

নেপালে ২০০৮ সালে ২৩৯ বছর পুরোনো রাজতন্ত্র অবসানের পর থেকে ১১ বার সরকার বদল হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে ভয় পাওয়ায় দেশটিতে শত শত কোটি ডলারের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে।