আজাদ কাশ্মীরের হাজার হাজার বাসিন্দা মুল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির (জেএএসি) নেতৃত্বে প্রতিবাদে নেমেছে।
Published : 14 May 2024, 12:09 PM
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের গুলিতে স্থানীয় তিন বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের (একেজে) রাজধানী মুজাফফরাবাদের কাছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে রেঞ্জার্সদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় রেঞ্জার্সের তিন সদস্যসহ আটজন আহত হয় বলে জানিয়েছে কাশ্মীর টাইমস।
মুল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থেকে জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির (জেএএসি) নেতৃত্বে আজাদ কাশ্মীরের হাজার হাজার বাসিন্দা প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে আসছে। পাঁচ দিন ধরে চলা এ প্রতিবাদের মধ্যে এ পর্যন্ত চারজন নিহত হল।
প্রতিবাদকারীরা অভিজাত শ্রেণিকে দেওয়া সুযোগ সুবিধাও প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার একেজে সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠক হয়। এ বৈঠকে ইসলামাবাদ সরকার একেজের জন্য আটা ও বিদ্যুতের মূল্যে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য ২৩শ কোটি রুপির প্যাকেজ ঘোষণা করেন। কিন্তু এতেও তাৎক্ষণিভাবে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।
রাজ্যটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য রেঞ্জার্সদের মোতায়েন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার পর রেঞ্জার্সদের পাকিস্তানের মূল।ভূখণ্ডে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, তাদের খাইবার পাখতুখওয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম ব্রারকোট দিয়ে ফেরার কথা থাকলেও তারা কোহালা অঞ্চল দিয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। পাঁচটি ট্রাকসহ রেঞ্জার্সদের ১৯টি গাড়ির বহর মুজাফফরাবাদের কাছে পৌঁছলে শোরান দা নাক্কা গ্রামের কাছে তাদের লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করা হয়।
এর জবাবে রেঞ্জার্সরা কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে ও গুলি করে। সামাজিক মাধ্যমে আসা একটি ভিডিওতে মুজাফফরাবাদ-ব্রারকোট সড়কে রেঞ্জার্সদের তিনটি গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
মুজাফফরাবাদ শহরের পশ্চিম দিকের বাইপাস দিয়ে রেঞ্জার্সরা নগরীটিতে প্রবেশ করার পর ফের পাথর বৃষ্টির মধ্যে পড়ে। এখানেও তারা কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার ও গুলি করে।
মুজাফফরাবাদের ডেপুটি কমিশনার নাদিম জানজুয়া জানিয়েছেন, গুলিতে তিন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে আর আহতের সংখ্যা আটজনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার একেজের মিরপুরে সহিংসতা চলাকালে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিল। সোমবারে নিহতদের মধ্যে এক কিশোর রয়েছে বলে মুজাফফরাবাদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।