প্রতিবেশী দুই দেশই পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা নেওয়ার পর রাতে এ ঘটনা ঘটল।
Published : 25 Apr 2025, 09:49 AM
ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার তৃতীয় দিনের মাথায় পাকিস্তানি ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, বৃহস্পতিবার রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় চৌকি লক্ষ্য করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অনুমাননির্ভর গুলির পাল্টায় ভারতীয় সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে।
সামরিক সূত্র বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘কার্যকর জবাব' দিয়েছে এবং কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এক সূত্র এনডিটিভিকে বলেছেন, “গত রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের তরফে ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেই গুলির কার্যকর জবাব দেওয়া হয়েছে।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার কয়েকদিন পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে সংকট দেখা দিয়েছে।
পেহেলগামে মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও ডজনের বেশি আহতের ঘটনা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র করেছে। এই ঘটনায় ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামে একটি সংগঠন দায় স্বীকার করেছে।
এই সংগঠনটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা। টিআরএফ এর পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সমর্থন আছে বলে ধারণা করা হয়।
লস্কর ই তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতের মুম্বাইয়ে ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার হোতা হাফিজ মহম্মদ সাঈদ সেই সময় যে সব ‘ছায়া সংগঠন’ গড়ে তুলেছিলেন, সেই সূত্রেই গড়ে উঠেছিল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) -এর মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো।
এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় বুধবার ভারতের তরফে সার্ক ভিসা স্কিমের অধীনে পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এই ভিসার অধীনে ভারতে থাকা পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আটারি স্থল সীমান্ত বন্ধের পাশাপাশি ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয় ভারত। পাশাপাশি দুই দেশের হাই কমিশনে কর্মকর্তা কমানো ও ফিরে যাওয়াসহ একাধিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর পাল্টায় ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি স্থগিত এবং ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা বৃহস্পতিবার দিয়েছে ইসলামাবাদ। ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিতের পাশাপাশি নয়া দিল্লিকে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। তাছাড়া ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধেরও ঘোষণা এসেছে।