দামেস্কের কাছে দুটি শহরে মঙ্গলবার গণকবর পরিদর্শনের পর একথা বলেন, যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক সাবেক বিশেষ মার্কিন দূত স্টিফেন র্যাপ।
Published : 18 Dec 2024, 10:14 PM
সিরিয়ার গণকবর এলাকাগুলো থেকে যে প্রমাণ বেরিয়ে আসছে, তাতেই সামনে এসেছে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের আমলের রাষ্ট্র-পরিচালিত ‘মৃত্যুর যন্ত্র’। যেখানে ২০১৩ সাল থেকে ১ লাখের বেশি মানুষকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক কৌঁসুলি স্টিফেন র্যাপ একথা বলেছেন।
মঙ্গলবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে কুতাইফাহ ও নাজহা শহরে দুটি গণকবর পরিদর্শন করেন যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক সাবেক এই বিশেষ মার্কিন দূত র্যাপ। এরপরই তিনি বলেন, “আসাদের এই মৃত্যুর যন্ত্রে নিশ্চিতভাবেই ১ লাখের বেশি মানুষ গুম হয়েছে এবং নির্যাতিত হয়ে মারা গেছে।
গণকবরগুলোতে আমরা যা দেখেছি তাতে মৃতের সংখ্যা নিয়ে আমার খুব বেশি একটা সন্দেহ নেই। নাৎসিদের (হত্যাযজ্ঞ) পর এমন ভয়াবহ কিছু আমরা সত্যিই আর দেখিনি।”
রুয়ান্ডা ও সিয়েরা লিওনে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করা স্টিফেন র্যাপ এখন সিরিয়ার নাগরিক সমাজের সঙ্গে কাজ করে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংরক্ষণ এবং এ সংক্রান্ত যে কোনও বিচার পক্রিয়ার প্রস্তুতিতে সহায়তা করছেন।
২০১১ সালে আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর কঠোর দমনপীড়ন থেকে পরিস্থিতি পুরোদস্তুর গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। বিক্ষোভ দমনাভিযানে ২০১১ সাল থেকে লাখো মানুষ নিহত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
আসাদ ও তার বাবা হাফিজ আল-আসাদের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরেই মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশের অভিযোগ, তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছেন, কারগারগুলোতে গণহারে মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন এবং নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।
তবে বাশার আল-আসাদ সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। গত ৮ ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের ঝড়ো আক্রমণের মুখে আসাদ সরকারের পতন হয়। সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ায় পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ।