ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য করার প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় অটোয়া-ভিত্তিক ডিজাইন ফার্ম এই টুপি তৈরি করেছে।
Published : 24 Jan 2025, 09:43 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য করার প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় এক উদ্যোক্তার নকশা করা ‘কানাডা বিক্রির জন্য নয়’ (কানাডা ইজ নট ফর সেল) লেখা টুপি ভাইরাল হয়েছে।
অটোয়া-ভিত্তিক ডিজাইন ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াম মুনি এই টুপি তৈরি করেছেন।
গত সপ্তাহে অটোয়ায় অন্টারিওর প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড এই টুপি পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও অন্যান্য প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার পর টুপিটি সবার নজর কাড়ে।
কানাডা থেকে পণ্য আমদানির ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি নিয়ে আলোচনার জন্য এ বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্যোক্তা লিয়াম মুনি জানান, বৈঠকের পর থেকেই অনলাইনে টুপিটির জন্য হাজার হাজার অর্ডার আসতে শুরু করে।
তিনি বলেন, ট্রাম্পের কথার প্রেক্ষাপটে এক সৃজনশীল প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ টুপি নকশা করা হয়েছে। রাজনৈতিক বক্তব্যকে বিদীর্ণ করে জাতীয়তাবাদ ও ঐক্যের বার্তা দেওয়াই এর উদ্দেশ্য।
মুনি জানান, ফক্স নিউজে ডগ ফোর্ডের দেওয়া এক সাক্ষাৎকার থেকে টুপি বানানোর আইডিয়া তার মাথায় আসে। ফক্স নিউজের উপস্থাপক ফোর্ডকে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছিলেন এবং এতে কানাডার ‘সুবিধাই’ হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছিলেন।
কিন্তু জবাবে ফোর্ড বলেছিলেন, ‘কানাডা বিক্রির জন্য নয়’। মুনি বলেন, “আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে যখন আমাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। বিশ্বজুড়ে আমাদের চারপাশে মিত্র এবং বন্ধু রয়েছে, যারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে প্রস্তুত।”
ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি কানাডার অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে অচল করে দিতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রেও তেল ও অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
কানাডা বর্তমানে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে থাকার মধ্যেই ট্রাম্প দেশটির ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। কানাডার লিবারেল দলের নেতা ট্রুডো এরই মধ্যে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন এবং মার্চে পদত্যাগ করতে চলেছেন।
এবছর কানাডায় নির্বাচনের আগে দিয়ে বিরোধীদল কনজারভেটিভদেরকে ফেডারেল জনমত জরিপে এগিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে দেওয়া এক ভিডিও বক্তৃতায় বলেছেন, তিনি কানাডার কাছ থেকে সম্মান চান। এর আগে তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে সম্বোধন করেছিলেন।