ইসরায়েলের হামলার মুখে অনেকেই আশ্রয়ের জন্য রেডক্রস কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
Published : 22 Jun 2024, 10:58 AM
গাজায় আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) কার্যালয়ের কাছে ভারি গোলাবর্ষণে ২২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
ইসরায়েলের হামলার মুখে অনেকেই আশ্রয়ের জন্য রেডক্রস কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
হামলায় রেডক্রসের কার্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।
এক বিবৃতিতে আইসিআরসি বলেছে, শুক্রবার দুপুরের দিকে কার্যালয় ও তাদের কর্মীদের আবাসস্থলের আশপাশে ভারি গোলা এসে পড়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি বলছে, বেসামরিক লোকজন এবং মানবকি সহায়তা কেন্দ্রগুলোর ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর দায়িত্ব সব পক্ষেরই রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে যেসব বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে এটি একটি, এমন দাবি করে আইসিআরসি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা মানবিক সহায়তা এবং বেসামরিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলার মতো এ ধরনের ঘটনার নিন্দা জানাই।”
তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একজন মুখপাত্র বলেছেন, ওই এলাকায় তারা কোনো হামলা চালায়নি। হামলার ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গোলায় রেডক্রস কার্যালয়ের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই কার্যালয়ের চারদিকে কয়েকশ অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন গাজার কয়েকশ মানুষ। সেখানে রেডক্রসের ফিলিস্তিনি কর্মীরাও রয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
হামলার পরপরই হতাহতদের কাছেই অবস্থিত রেডক্রসের ফিল্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২২ জনের মৃতদেহ ও ৪৫ জন আহতকে নেওয়া হয়।
তবে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হামলায় ২৫ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছে দাবি করে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ি করেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামাস ১২০০ মানুষ হত্যা এবং আড়াইশ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র সংগঠনটিকে নির্মূলের লক্ষ্যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে ইহুদী রাষ্ট্রটি।
এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় ৩৭ হাজার ৩৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে কতজন বেসামরিক রয়েছে তার কোনো তথ্য না থাকলেও এপ্রিল পর্যন্ত শিশু, নারী ও বয়স্ক মিলিয়ে ১৪ হাজার ৬৮০ জন মারা গেছে।