রকেটে এবার বিজ্ঞান ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট পেলোড এবং ৩৮ হাজার শিক্ষার্থীর পোস্টকার্ড থাকবে, যেগুলোর স্ট্যাম্পে লেখা থাকবে ‘ফ্লোন টু স্পেস!’।
Published : 18 Dec 2023, 11:47 AM
ভূপৃষ্ঠে এক বছরের দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে পুনরায় উৎক্ষেপিত হতে যাচ্ছে মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের রকেট কোম্পানি ব্লু অরিজিনের ‘নিউ শেফার্ড’ রকেটটি।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রকেটটির উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন এর পুনরায় উৎক্ষেপণের অনুমতি দেয়নি মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)’।
১৮ ডিসেম্বর সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম টেক্সাস ফ্যাসিলিটি থেকে রকেটটি পুনরায় উৎক্ষেপণের লক্ষ্যস্থির করেছে কোম্পানিটি। আর এর ‘লঞ্চ উইন্ডো’ চালু হবে পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টা (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা) থেকে।
তবে, নিউ শেফার্ড এবারের যাত্রায় কোনো যাত্রী বহন না করলেও এতে বিজ্ঞান ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট পেলোড এবং ৩৮ হাজার শিক্ষার্থীর পোস্টকার্ড থাকবে, যেগুলোর স্ট্যাম্পে লেখা থাকবে ‘ফ্লোন টু স্পেস!’। আর এটি কোম্পানির ‘ক্লাব ফর দ্য ফিউচার’ প্রকল্পের অংশ।
এ ছাড়া, উৎক্ষেপণের ২০ মিনিট আগে থেকেই এর লাইভস্ট্রিম শুরু হবে ব্লু অরিজিনের ওয়েবসাইটে।
অতীতে যাত্রীবাহী ও পেলোড উভয় ধরনের মিশনই চালানো হয়েছে ব্লু অরিজিনের পুনর্ব্যবহারযোগ্য সাবঅর্বিটাল রকেটটি থেকে। এর মধ্যে ২০২১ সালের উৎক্ষেপণে অংশ নিয়েছিলেন বেজোস নিজেও, যা কোম্পানির প্রথম মানববাহী মহাকাশ মিশন ছিল।
রকেটটির ২৪টি উৎক্ষেপণের ছয়টিই মানববাহী ছিল, যেখানে যাত্রীদের বহন করেছে রকেটের ক্রু ক্যাপসুল।
২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নিউ শেফার্ডের এক যাত্রীবিহীন উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, যেখানে উৎক্ষেপণের পরপরই মাটিতে বিস্ফোরিত হয় রকেটটি। এর আগে অবশ্য রকেট থেকে ক্যাপসুলকে আলাদা করতে পেরেছিল কোম্পানিটি, যার ফলে ক্যাপসুলটি নিরাপদেই প্যারাশ্যুটের মাধ্যমে অবতরণ করানো সম্ভব হয়েছিল।
এ ঘটনার পরপরই তদন্ত শুরু করে এফএএ, যেখানে ব্লু অরিজিনকে নতুন উৎক্ষেপণ চালানোর জন্য রকেটের ২১টি ত্রুটি সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিল সংস্থাটি। পরবর্তীতে, এ উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার কারণ হিসেবে উঠে আসে রকেটের ইঞ্জিনের সামনের অংশ অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার বিষয়টি।
এ বছরের সেপ্টেম্বরে নিজেদের তদন্ত শেষ করেছে এফএএ।