অঙ্গরাজ্য দুটির প্রচলিত আইনে কোনো সামাজিক মাধ্যম তাদের প্ল্যাটফর্মে কোনো কনটেন্ট ‘আপত্তিকর’ বিবেচনা করলেও ওই কনটেন্ট সরাতে পারবে না।
Published : 15 Aug 2023, 07:10 PM
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সংখ্যগরিষ্ঠ দুই অঙ্গরাজ্য টেক্সাস ও ফ্লোরিডায় সামাজিক মাধ্যম সংশ্লিষ্ট কয়েকটি আইন দেশটির সর্বোচ্চ আদালতেকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
অঙ্গরাজ্য দুটির প্রচলিত আইনে সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলো তাদের প্ল্যাটফর্মে কোনো কনটেন্টকে ‘আপত্তিকর’ বিবেচনা করলেও ওই কনটেন্ট সরাতে পারবে না।
বাইডেন প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে অঙ্গরাজ্যগুলো ‘অননুমোদিত সেন্সরশিপ’ বলে আখ্যা দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
মার্কিন বিচারকরা এই ধরনের দুটি আইন পর্যালোচনা করছেন। আইনগুলোকে চ্যালেঞ্জ করেছে প্রযুক্তি শিল্পসংশ্লিষ্ট সংগঠন ‘নেটচয়েস’, যার সদস্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটা, অ্যালফাবেট ও সামাজিক মাধ্যম এক্স।
২০২১ সালে পাশ হওয়া আইনগুলোর সমর্থকদের যুক্তি, এর আগে রক্ষণশীল মনোভাব রাখা কণ্ঠস্বর রোধ করতে দেখা গেছে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমকে। এর বিপরীতে, কনটেন্ট মডারেশন ব্যবস্থার সমর্থকরা বলছেন ‘ভুল তথ্য ও উগ্রবাদী মনোভাবে’র বিস্তার রোধের বিষয়টি।
যুক্তরাষ্ট্রের এক নিম্ন আদালত ফ্লোরিডার এমনই এক আইনের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার পর থেকেই সেটি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে অঙ্গরাজ্যটি। অন্যদিকে, ভিন্ন এক নিম্ন আদালতে টেক্সাসের আরেকটি অনুরূপ আইন পুনর্বহালের বিরুদ্ধে আপিল করেছে বিভিন্ন শিল্প সংগঠন। এর আগে মামলাটির প্রাথমিক পর্যায় চলাকালীন তা খারিজ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত।
সোমবার এই বিরোধ নিয়ে মার্কিন বিচার বিভাগ বলেছে, মামলাগুলো খতিয়ে দেখা উচিৎ, কারণ, এইসব আইন সামাজিক মাধ্যমগুলোর প্রথম সংশোধনীর অধিকার খর্ব করে। আর সেটা হল বাকস্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
“কোনো সামাজিক মাধ্যম যখন তৃতীয় পক্ষের বক্তব্য জনসমক্ষে উপস্থাপনের জন্য সেগুলো বাছাই, সংশোধন বা সাজানোর কার্যক্রম চালায়, তারা সেটা প্রথম সংশোধনী অক্ষুন্ন রেখেই করে।” --এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছে বিচার বিভাগ।
রয়টার্স বলছে, এইসব মামলায় বিভিন্ন শিল্প সংগঠনের যুক্তি পরীক্ষা করে দেখবে। এর মধ্যে রয়েছে, সামাজিক মাধ্যমগুলোর সম্পাদকীয় বিবেচনার পথ রুদ্ধ করে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কনটেন্ট প্রকাশে সরকার বাধ্য করলে তা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর বিরুদ্ধে যায় কি না।
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম কোম্পানি বলেছে, সম্পাদকীয় রীতির প্রয়োগ না করলে তাদের প্ল্যাটফর্ম স্পাম, বুলিয়িং, চরমপন্থা ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের চারণভূমি হয়ে উঠবে।
ফ্লোরিডার আইন অনুসারে, শীর্ষ সামাজিক মাধ্যমগুলোর মতের সঙ্গে না মিললেও বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে, এবং পাশাপাশি তাদের নীতিমালা প্রকাশ করতে হবে।
আর টেক্সাসের আইনে উল্লেখ রয়েছে, ‘দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে’ ব্যবহাকারীদের নিষিদ্ধ করা যাবে না।