ফেডএক্স-এর সঙ্গে অ্যামাজনের প্রতিযোগিতায় নতুন রসদ হিসেবেও কাজ করবে প্ল্যাটফর্মটি। কয়েক বছর ধরেই অ্যামাজনকে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে ফেডএক্স।
Published : 15 Jan 2024, 08:37 PM
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানি অ্যামাজনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার লক্ষ্যে নতুন ই-কমার্স চালুর ঘোষণা দিয়েছে শীর্ষ লজিস্টিকস কোম্পানি ফেডএক্স।
‘এফডিএক্স’ নামের নতুন প্ল্যাটফর্মটি অনলাইন ব্যবসায়ীদের ‘এন্ড-টু-এন্ড ই-কমার্স সমাধান’ দেবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
নতুন প্ল্যাটফর্মটি আনার লক্ষ্য হিসেবে কোম্পানিটি বলছে, এটা ব্যবসায়ীদের কাজের প্রয়োজনীয় সরবরাহ চেইন পরিচালনা ও গ্রাহকদের কাছে তা বিক্রির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এর পাশাপাশি, ব্যবসায়ীদের ডেলিভারি ব্যবস্থা চালাতেও সাহায্য করবে প্ল্যাটফর্মটি।
কোম্পানিটি ঘোষণায় আরও লিখেছে, ‘এফডিএক্স’-এর মাধ্যমে কোম্পানির সব ধরনের ব্যবসায়িক টুলকে সমন্বয় করা যাবে।
ফলে গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ বা অর্ডার পরিচালনার ক্ষেত্রে ফেডএক্স-এর সরবরাহ নেটওয়ার্ক থেকে ব্র্যান্ডগুলো আরও সঠিক তথ্য দিতে পারবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ভার্জ।
কোম্পানির বৈশ্বিক গণসংযোগ ব্যবস্থাপক ক্রিস্টিনা মিক ভার্জকে দেওয়া ইমেইল বার্তায় বলেছেন, ফেডএক্স এখনও অনলাইন মার্কেটপ্লেসের ব্যবসায় প্রবেশ করেনি। এ ছাড়া, গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিয়ন্ত্রণের সময় থেকেই বিভিন্ন ব্যবসার ‘ডিজিটাল সক্ষমতা ও অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি’ প্রকাশের সুযোগ মিলবে।
এ ছাড়া, ফেডএক্স-এর সঙ্গে অ্যামাজনের প্রতিযোগিতার নতুন রসদ হিসেবেও কাজ করবে প্ল্যাটফর্মটি। এর কারণ হিসেবে ভার্জ প্রতিবেদনে বলেছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই অ্যামাজনকে নিজস্ব ব্যবসার জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখছে ফেডএক্স।
২০১৯ সালে অ্যামাজনের কার্গো বহরে নিজেদের ‘ফেডএক্স এক্সপ্রেস’ সেবার বিভিন্ন পণ্য পাঠানোর চুক্তি নবায়নে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল ফেডএক্স। একই বছরের শেষ দিকে অ্যামাজনও নিজস্ব বিক্রেতাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ডেলিভারির জন্য ফেডএক্স ব্যবহার না করার অনুরোধ জানায়। সে সময় সেবাটির মান কমে যাওয়াকে এর কারণ হিসেবে দেখিয়েছিল অ্যামাজন। তবে, এর পরের বছরই এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় কোম্পানিটি।
ভার্জ বলছে ফেডএক্স অ্যামাজনের কাছে হেরে গেছে। ঠিক যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পার্সেল সেবা ‘ইউপিএস’ হেরেছিল অ্যামাজনের কাছে।
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ফেডএক্স ও ইউপিএস-এর চেয়েও অনেক বেশি পণ্য মানুষের দরজায় পৌঁছে দিয়েছে অ্যামাজন। এর কয়েক বছর আগেই নিজস্ব লজিস্টিকস ব্যবস্থা বানিয়েছে কোম্পানিটি। আর এর নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন এমন থার্ড পার্টি ঠিকাদারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদেরকে অ্যামাজন নিজস্ব কর্মী বলে পরিচয় দিতে চায় না।