ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তৃতীয় দেশ, যেখানে স্টারলিংক চালু হল। গত বছর কোম্পানিকে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লাইসেন্স দিয়েছে মালয়েশিয়া।
Published : 19 May 2024, 06:41 PM
ইন্দোনেশিয়ায় স্পেসএক্স-এর স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা উন্মোচন করেছেন কোম্পানিটির সিইও ইলন মাস্ক।
রোববার ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রী বুডি গুনাডি সাদিকিনের সঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবাটি উদ্বোধন করেন এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও শীর্ষ ধনী।
ইন্দোনেশীয় সরকার আশা করছে, এ ইন্টারনেট সেবা চালুর মাধ্যমে দেশটির বিস্তৃত দ্বীপপুঞ্জটির প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় ইন্টারনেট প্রবেশ করবে ও এতে করে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবার পরিসর বেড়ে যাবে।
এর আগে রোববার সকালে বালি বিমানবন্দরে ব্যক্তিগত জেটে আসা মাস্ককে স্বাগত জানান দেশটির মুখ্য বিনিয়োগ মন্ত্রী লুহুত বিনসার পান্ডজাইতান।
মাস্ক বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি, যেখানে তিনটি ভিন্ন টাইম জোনে বাস করছেন ২৭ কোটিরও বেশি মানুষ, সেখানে সমানভাবে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিলে তা প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজনকে শহরাঞ্চলের মানুষের মতো একইভাবে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।
স্পেসএক্স’র স্যাটেলাইট বিভাগ এরইমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় কাজ করার অনুমতি পেয়েছে বলে গত সপ্তাহে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রী বুদি অ্যারি সেটিয়াদি।
এর আগে স্টারলিংকের ‘ভেরি স্মল অ্যাপারচার টার্মিনাল (ভিএসএটি)’ বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে যোগ করেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তৃতীয় দেশ, যেখানে স্টারলিংক চালু হচ্ছে। গত বছর কোম্পানিকে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লাইসেন্স দিয়েছে মালয়েশিয়া। এ ছাড়া, ২০২২ সালে এক ফিলিপাইন-ভিত্তিক কোম্পানির সঙ্গেও চুক্তি স্বাক্ষর করেছে স্পেসএক্স।
এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে থাকা ইউক্রেইন স্টারলিংকের নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল, যেখানে দেশটির সামরিক, হাসপাতাল, ব্যবসা ও দাতব্য সংস্থাগুলোয় ইন্টারনেট পরিষেবাটি যোগ হয়েছে।
‘দেশের জিডিপি বাড়াতে পারে স্টারলিংক’
মাস্কের দাবি, কোনও দেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করলে সে দেশের জিডিপি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
“একবার আপনার কাছে ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার চলে এলে আপনি গোটা বিশ্বের সকল তথ্যে প্রবেশাধিকার পেয়ে যাবেন,” বলেন মাস্ক।
“তবে ইন্টারনেটে প্রবেশের সুবিধা না থাকলে, বা খুবই খরচ সাপেক্ষ বা কম ব্যান্ডউইথওয়ালা ইন্টারনেট থাকলে আপনি এমআইটি’র কোর্স অনলাইকে করতে পারবেন না, এমনকি নিজের পণ্য বা সেবাও বিক্রি করতে পারবেন না।”
“তাই লোকজনকে দারিদ্র্য থেকে তুলে আনতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এতে করে আপনি তাদের পণ্য ও সেবাগুলো বিক্রি করার, যে কোনো কিছুই শেখার, এমনকি আরও ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। তবে, ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া তা সম্ভব নয়।”