আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বতে পৌঁছাল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

পাঁচ হাজার ৮৯৫ মিটার উচ্চতার পর্বতটির চূড়ায় এ বছরের শেষ নাগাদ ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তানজানিয়া সরকার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2022, 09:05 AM
Updated : 2 Oct 2022, 08:52 AM

দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ পাচ্ছে আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমাঞ্জারো। পর্বতারোহীদের যোগাযোগের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে পর্বতের একাংশ পর্যন্ত ইন্টারনেট চালু হয়েছে এবং এ বছর শেষ হওয়ার আগেই চূড়াতেও ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে তানজানিয়া সরকার।

তানজানিয়া টেলিকমিউনিকেশন কর্পোরেশন মঙ্গলবারেই পর্বতের তিন হাজার ৭২০ মিটার উচ্চতায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালু করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান। একে একটি ‘ঐতিহাসিক’ ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন তানজানিয়ার তথ্যমন্ত্রী নাপে নাউইয়ে।

পর্বতারোহীরা যেন টুইট করে, ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে নিজেদের পর্বাতারোহনের অভিজ্ঞতা তাৎক্ষণিকভাবে শেয়ার করতে পারেন অথবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, সেই সেবা দিতেই তানজানিয়া সরকার পর্বতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।

কিলিমাঞ্জারোতে ব্রডব্যান্ড সংযোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী নাপে নাউইয়ে বলেন, “আগে অতিথি এবং স্থানীয় পোর্টারদের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া কাজ চলিয়ে যাওয়া কিছুটা হলেও বিপজ্জনক ছিল।”

সকল পর্বতারোহী এখন প্রায় চার হাজার মিটার উচ্চতাতেও ইন্টারনেট সংযোগ পাবেন। পাঁচ হাজার ৮৯৫ মিটার উচ্চতার এ পর্বত চূড়ায় এ বছরের শেষ নাগাদ ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কিলিমাঞ্জারোতে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া পৃথিবীর দুর্গম অঞ্চলগুলোকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনার চেষ্টায় সাফল্য হিসেবে দেখছে গার্ডিয়ান। এর ফলে পর্বতারোহনের সময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া এবং অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে জরুরি সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

কিলিমাঞ্জারোতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়ার আগে পর্বতের দক্ষিণাংশে একটি কেবল কার নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল তানজানিয়ার সরকার। তবে সরকারি ঘোষণার বিরোধিতা করেছেন পর্বতারোহী, পর্বতারোহনের অভিযান পরিচালনাকারী কোম্পানি এবং পরিবেশবাদীরা।

তানজানিয়া এবং প্রতিবেশী দেশ কেনিয়ার জন্য কিলিমাঞ্জারো একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৩৫ হাজার অভিযাত্রী এ পর্বতের চূড়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।