সঙ্গীত বা গান তৈরির ক্ষেত্রে এআইয়ের উপস্থিতি ১৯৫০এর দশকেও খুঁজে পাওয়া যায়। তবে, এআইয়ের সাম্প্রতিক অগ্রগতির ফলে বিভিন্ন রোবট বা মেশিন এখন পপ তারকাদের মতোই সঙ্গীত তৈরি করে।
Published : 23 Mar 2024, 04:47 PM
নতুন এক বিলে স্বাক্ষর করে আইন পাশ করেছেন মার্কিন অঙ্গরাজ্য টেনেসির গভর্নর বিল লি। এ আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অননুমোদিত ব্যবহার থেকে সংগীতশিল্পীসহ অন্যান্য শিল্পীদের রক্ষা করা।
আইনটিকে ‘এনশিওরিং লাইকনেস ভয়েস অ্যান্ড ইমেজ সিকিউরিটি (ইএলভিআইএস) অ্যাক্ট’ নাম দেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ
সঙ্গীত বা গান তৈরির ক্ষেত্রে এআইয়ের উপস্থিতি ১৯৫০এর দশকেও খুঁজে পাওয়া যায়। তবে, এআইয়ের সাম্প্রতিক অগ্রগতির ফলে বিভিন্ন রোবট বা মেশিন এখন পপ তারকাদের মতোই সঙ্গীত তৈরি করে। আর এটিই এ খাতের মতামতকে বিভক্ত করেছে। অনেক বিশেষজ্ঞই বলেছেন, এআই আইনি ও নৈতিক উদ্বেগগুলোকে সামনে নিয়ে এসেছে।
গত বছর চ্যাটজিপিটির মেশিন লার্নিং ব্যবস্থার মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা জেনারেটিভ এআই, এখন মূল শব্দ, গানের কথা বা সম্পূর্ণ গানসহ বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে পারে। কিন্তু শিল্পীরাও গানের শব্দ উন্নত করতে প্রায়ই এর চেয়ে সাধারণ মানের এআই ব্যবহার করে থাকেন।
মূল উদ্ধৃতি
“কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার থেকে গীতিকার, অভিনয়শিল্পী ও সঙ্গীত শিল্পীদের কণ্ঠস্বর সুরক্ষিত রাখতে, টেনেসির আইনের ব্যক্তিগত অধিকার সুরক্ষার আইনটি আপডেট করা হল।” – এক বিবৃতিতে বলেছে টেনেসি গভর্নরের কার্যালয়।
গভর্নরের অফিস অনুসারে, টেনেসির সঙ্গীতজগত অঙ্গরাজ্য জুড়ে ৬১ হাজারেরও বেশি চাকরি তৈরি করেছে ও প্রায় ৫৮০ কোটি ডলার অবদান রেখেছে জিডিপিতে।
টেনেসির আগের আইন কেবল নাম, ছবি, বা উপমাকেই সুরক্ষা দিত। সেখানে নতুন এআই ক্লোনিং মডেল ও পরিষেবার কথা উল্লেখ করা ছিল না। আর এআইয়ের মাধ্যমে অন্যের ছবি ও কণ্ঠস্বরের অননুমোদিত ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়।
প্রসঙ্গ
এআইয়ের উত্থান অন্যান্য অনেক উদ্বেগও বাড়িয়েছে। ভয় রয়েছে এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে ও জালিয়াতিতে ব্যবহৃত হতে পারে। এ ছাড়া, অনেকের চাকরি হারানোর কারণও হতে পারে এআই।
তবে, এআই নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এগিয়ে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিভিন্ন খসড়া নিয়ম ও আইন তৈরি করেছেন সেখানকার আইন প্রণেতারা।
ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এআই নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন প্রণেতাদের চাপ দিচ্ছে। তবে, দুইভাগে বিভক্ত হয়ে আছে মার্কিন কংগ্রেস, যেখানে রিপাবলিকান সমর্থকরা প্রতিনিধি পরিষদ ও ডেমোক্র্যাটরা সিনেটকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এমন অবস্থায় কার্যকর আইন পাশ করার ক্ষেত্রে দেশটিতে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।