এ মিশনের জন্য বাছাই করা বিভিন্ন যন্ত্র, চাঁদের পরিবেশ, চাঁদের ভেতরে কী আছে ও চাঁদে দীর্ঘকাল ধরে মানুষের বসবাসের কার্যকারিতা সম্পর্কে অমূল্য তথ্য সংগ্রহ করবে।
Published : 02 Apr 2024, 04:11 PM
ভবিষ্যতে চাঁদে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছে নাসা। আর এজন্য আর্টেমিস ৩ মিশনকে বাছাই করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।
সম্ভাব্য আর্টেমিস ৩ মিশনে চাঁদের পৃষ্ঠে নভোচারীদের পাঠানোর জন্য বাছাই করা বিজ্ঞানভিত্তিক যন্ত্রের প্রথম সেট দেখিয়েছে নাসা, যার লক্ষ্য, চাঁদ সম্পর্কে মানুষের বোঝাপড়ার পরিসর আরও বাড়ানো ও ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে বিভিন্ন ক্রু মিশনের প্রস্তুতি নেওয়া।
এ মিশনের লক্ষ্য, প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নভোচারীদের পদার্পন ঘটানো, যাকে পৃথিবীর বাইরে মানুষের টেকসই উপস্থিতির দিকের একটি পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিবেদনে লিখেছে ‘স্পেসএক্সপ্লোরড’।
ধারণা করা হচ্ছে, এ মিশনের জন্য বাছাই করা বিভিন্ন যন্ত্র, চাঁদের পরিবেশ, চাঁদের ভেতর কী আছে ও চাঁদে দীর্ঘকাল ধরে মানুষের বসবাসের কার্যকারিতা সম্পর্কে অমূল্য তথ্য সংগ্রহ করবে।
চন্দ্রবিজ্ঞানের রূপান্তরে যন্ত্রপাতি
এ মিশনের উদ্দেশ্যে বাছাই করা ‘পেলোডে’ প্যাকেজে তিনটি অত্যাধুনিক যন্ত্র রয়েছে। ‘ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড, বাল্টিমোর কাউন্টি’র ড. মেহেদি বেন্নার নেতৃত্বে ‘লুনার এনভায়রনমেন্ট মনিটরিং স্টেশন (এলইএমএস)’ নামের একটি সিসমোমিটার স্যুট তৈরি, যা চন্দ্রপৃষ্ঠের কম্পন নিরীক্ষণ ও চাঁদের কাঠামোগত গঠনে তথ্য সংগ্রহ করবে।
আর এ স্যুটের দীর্ঘমেয়াদী পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা শেষ পর্যন্ত চাঁদের একটি জিও ফিজিকাল নেটওয়ার্কে সমন্বিত করা যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে স্পেসএক্সপ্লোরড।
পরবর্তীতে, মহাকাশে ফসল ফলানোর উদ্দেশ্যে চাঁদের পরিবেশগত সম্ভাবনা খুঁজে দেখতে ‘লুনার ইফেক্টস অন এগ্রিকালচারাল ফ্লোরা (এলইএএফ)’ নামের একটি পরীক্ষার নকশা তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের বোল্ডার এলাকার গবেষণা সংস্থা ‘স্পেস ল্যাব টেকনোলজিস, এলএলসি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস্টিন এসকোবার।
এ গবেষণার লক্ষ্য, মহাকাশের বিকিরণ ও আংশিক মাধ্যাকর্ষণের মতো বিশেষ পরিস্থিতিতে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ, বৃদ্ধি ও চাপের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা, যা ভবিষ্যতে চাঁদে কৃষি কাজ ও বিভিন্ন লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে।
তৃতীয় যন্ত্রটি হল— ‘লুনার ডাইলেকট্রিক অ্যানালাইজার (এলডিএ)’, যার নেতৃত্বে আছেন ‘ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও’র অধ্যাপক ড. হিদাকি মিয়ামোতোর। আর এর সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে ‘জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা)’।
ধারণা করা হচ্ছে, যন্ত্রটি চাঁদের রেগোলিথের (প্রাকৃতিক কণা বা খনিজ পদার্থ) বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্য মূল্যায়ন করবে। এ ছাড়া, চাঁদে বরফের মতো উদ্বায়ী বা পরিবর্তনশীল বস্তু শনাক্তকরণের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ গবেষণা, যা চাঁদের পৃষ্ঠের কাঠামো ও নভোচারীদের সম্ভাব্য বিভিন্ন উপাদান নিয়ে তথ্য দেবে।