টেইলর সুইফটের যে ৫ গান ‘ভূমিকম্প’ ঘটিয়েছে

গবেষকরা নিশ্চিত করেছেন, সুইফটের কনসার্টে স্পিকার সিস্টেম ও বাদ্যযন্ত্র নয়, বরং মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের গতিই ছিল এ কম্পনের প্রাথমিক উৎস।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2024, 12:39 PM
Updated : 19 March 2024, 12:39 PM

মার্কিন পপ তারকা টেইলর সুইফটের ‘ইরাস ট্যুর’ কনসার্টে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়ে যে কম্পন তৈরি হয়েছিল, তা ছিল ভূমিকম্পের কাছাকাছি পর্যায়ের। এর মধ্যে পাঁচটি গান সবচেয়ে বেশি কাঁপিয়ে তুলেছিল ‘সোফি স্টেডিয়াম’কে।

কনসার্ট মাতিয়ে রাখার জন্য আলাদা খ্যাতি আছে সুইফট ভক্তদের। সে হিসাবে, কনসার্টে ৭০ হাজার ভক্ত কতোটা ‘কাঁপিয়ে দিতে পারেন’ তা বলাই বাহুল্য।

২০২৩ সালের ৫ অগাস্ট সুইফটের ‘লস অ্যাঞ্জেলেস ইরাস ট্যুর’-এ ঠিক কী কারণে এমন কম্পন সৃষ্টি হয়েছিল, তার সম্ভাব্য জবাব খুঁজে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী।

গত বছরের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্টের সিয়াটলের লুমেন ফিল্ডে সুইফটের কনসার্টে এ কম্পন সৃষ্টির সম্ভাব্য কারণ আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করেছে ‘ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (ক্যালটেক)’-এর গবেষণা দলটি।

এজন্য সোফি স্টেডিয়ামের কাছাকাছি ও এর ভেতর বসানো মোশন সেন্সর ও বিভিন্ন আঞ্চলিক ‘সিসমিক নেটওয়ার্ক স্টেশন’ থেকে কম্পন রেকর্ড করা হয়, যেখানে কনসার্টের সময় সুইফটের ৪৫টি গানের মধ্যে ৪৩টিই শনাক্ত করতে পেরেছেন গবেষকরা।

কনসার্টে সুইফটের প্রতিটি গান থেকে নির্গত বিকিরণের মাত্রা গণনা করে ১৩ মার্চ ‘সিসমোলজিক্যাল রিসার্চ লেটারস’ জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন ক্যালটেক-এর গবেষকরা।

গবেষণায় একে এমন ‘স্থানীয় মাত্রার ভূমিকম্প’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়, যেখানে একই মাত্রার বিকিরণ ঘটতে পারে।

গবেষণা অনুসারে, সুইফটের যেসব গান থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী সংকেত পাওয়া গেছে, সেগুলো হল–

● ‘শেইক ইট অফ’, যার স্থানীয় কম্পন মাত্রা ০.৮৫১

● ‘ইউ বিলং উইথ মি’, যার স্থানীয় কম্পন মাত্রা ০.৮৪৯

● ‘লাভ স্টোরি’, যার স্থানীয় কম্পন মাত্রা ০.৮০০

● ‘ক্রুয়েল সামার’, যার স্থানীয় কম্পন মাত্রা ০.৭৪১

● ‘২২’, যার স্থানীয় কম্পন মাত্রা ০.৬৪৫

‘ক্যালটেক সিসমোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি’র ভূমিকম্প গবেষক ও এ গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক গ্যাব্রিয়েল টেপের ব্যাখ্যা অনুসারে, সুইফটের প্রতিটি গানে শক্তি নির্গত হয়েছে কয়েক মিনিট ধরে, সে তুলনায় ভূমিকম্পের বেলায় তা ঘটে এক সেকেন্ডের মধ্যেই।

“তাই এ কম্পনের সর্বোচ্চ বিস্তার থেকে গণনা করা কম্পনের মাত্রা অনেক কম,” মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস’কে বলেন তিনি।

গবেষকরা নিশ্চিত করেছেন, সুইফটের কনসার্টে স্পিকার সিস্টেম ও বাদ্যযন্ত্র নয়, বরং মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের গতিই ছিল এ কম্পনের প্রাথমিক উৎস।