প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীর কথা বলার ধরন সংশ্লিষ্ট নীতিমালা পুনরায় কঠোর করছে টুইটার। সেই লক্ষ্যে কোম্পানিটি নিজেদের ‘ঘৃণামূলক বক্তব্য’ বিষয়ক নীতিমালায় আপডেট এনেছে, যেখানে আগের বিভিন্ন সংস্করণের তুলনায় উল্লেখযোগ্য সংযোজন এসেছে।
চমকপ্রদভাবে, নতুন নীতিমালায় ব্যবহারকারীকে ‘ক্ষতির কামনা’ বা এই ধরনের মনোভাব প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
“এর মধ্যে আছে (তবে এগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়) অন্যের মৃত্যু, অসুস্থতা, মর্মান্তিক ঘটনা বা অন্যান্য শারীরিকভাবে ক্ষতিকর পরিণতির অভিজ্ঞতার মতো বিষয়গুলো।”
এটি টুইটারের আগের নীতিমালার সম্পুর্ণ বিপরীত, যেখানে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ ছিল, ‘কারও শারীরিক ক্ষতি কামনার বক্তব্য’ কোম্পানির নীতিমালা বিরোধী নয়।
“যেসব বক্তব্য অন্যের শারীরিক ক্ষতি, অস্পষ্ট বা পরোক্ষ হুমকি দেয় বা এমন হুমকিমূলক কার্যক্রম, যা গুরুতর বা দীর্ঘস্থায়ী আঘাতের কারণ হতে পারে না, সেগুলো এই নীতির অধীনে পদক্ষেপ নেওয়ার মতো বিষয় নয়।” --অলাভজনক ইন্টারনেট সাইট ‘ওয়েব্যাক মেশিনের’ তথ্য অনুযায়ী, এটি উল্লেখ ছিল টুইটারের আগের নীতিমালায়।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই পরিবর্তন নীতিমালার একমাত্র সংযোজন নয়। টুইটারের নীতিমালা এখন বিভিন্ন এমন অবকাঠামোকে ক্ষতির হুমকি থেকে সুরক্ষা দেয়, যা দৈনন্দিন, নাগরিক বা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে অপরিহার্য।
নীতিমালা অনুযায়ী, এগুলো সম্ভবত ‘ভ্রু কুচকে ফেলার’ মতো পরিবর্তন না হলেও, টুইটারে কীভাবে বিভিন্ন বক্তব্য সামলানো উচিৎ, সেটি নিয়ে মালিক ইলন মাস্কের আগের বিভিন্ন বক্তব্যের কারণে বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে। কোম্পানি অধিগ্রহনের আগে তিনি বলেন, সকল বক্তব্যকেই বৈধ হিসেবে অনুমোদন দেওয়া তার অগ্রাধিকার।
“আমি মনে করি, আমরা এমন এক পক্ষে সমর্থন দিতে চাই, যেখানে সন্দেহ থাকলেও বক্তব্য মোছা হবে না।” --সে সময় বলেছিলেন তিনি।
মাস্কের অধিগ্রহনের পর টুইটারের নীতিমালা সীমাবদ্ধ করার প্রথম ঘটনাও নয় এটি। কোম্পানির ‘ডক্সিং’ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা বদলেছে তার সঙ্গে ‘@elonjet’ নামের অ্যাকাউন্টের (এখন নিষিদ্ধ) ঝামেলার পর। এই অ্যাকাউন্ট মাস্কের প্রাইভেট জেটের অবস্থান শেয়ার করতো।
টুইটার অবশ্য এইসব পরিবর্তন সম্পর্কে কোনো যুক্তি দেয়নি। তবে তারা একাধিক টুইটে বলেছে, তারা ‘নিয়ম ভাঙা’ বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি প্রশ্নবিদ্ধ বিভিন্ন টুইট মুছে দিতে পারে। এই প্রসঙ্গে এনগ্যাজেট টুইটারের মন্তব্য জানতে চাইলেও এখন কোম্পানির গণযোগাযোগ দল না থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি।