ডনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে নিয়োগ পাওয়া বিচারক ডাউটি বলেন, ‘বাক স্বাধীনতার গলা চেপে ধরতে বিবাদীদের চেষ্টা’ নিয়ে ‘অনেক প্রমাণ উপস্থাপন করেছে’ মামলার বাদীরা।
Published : 16 Jul 2023, 07:50 PM
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম কোম্পানির সঙ্গে আপাতত নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করতে পারবে বাইডেন প্রশাসন, এমনই নির্দেশ দিয়েছে লুইজিয়ানার আপিল আদালত।
এর আগে মেটার মতো সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মার্কিন ফেডারেল কর্মকর্তাদের যাবতীয় যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের বিচারক টেরি এ. ডাউটি।
মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘আদালত থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত’ বিচারক ডাউটি’র ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফিফথ সার্কিট কোর্ট অফ আপিলস’-এর তিন বিচারকের প্যানেল।
আরও পড়ুন
কনটেন্ট মডারেশন নিয়ে চাপ দেওয়া নিষেধ বাইডেন প্রশাসনের
এবার যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে আপিল বাইডেন প্রশাসনের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ড. অ্যান্থনি ফাউচিসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন মিসৌরির সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক স্মিড ও লুইজিয়ানার অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ ল্যান্ড্রি।
মামলায় অভিযোগ ছিল, কনটেন্ট মডারেশনের অজুহাতে বর্তমান প্রশাসন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিকে চাপ দিচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রশাসনের ইমেইলের ভিত্তিতে এই মামলা করা হয়। আর এতে অভিযোগ ছিল, মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা ‘স্পর্শকাতর’ পোস্ট ঠেকাতে সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে এত বেশি চাপ দিয়েছে যে এটি কোভিড ১৯ মহামারীর ভ্যাক্সিন সমস্যা এমনকি নির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে।
ডনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে নিয়োগ পাওয়া বিচারক ডাউটি বলেন, ‘বাক স্বাধীনতার গলা চেপে ধরতে বিবাদীদের চেষ্টা’ নিয়ে ‘অনেক প্রমাণ উপস্থাপন করেছে’ মামলার বাদীরা।
“যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাক স্বাধীনতার ওপর সবচেয়ে বড় আক্রমণটি বিষয়টি ফুটে উঠেছে এই মামলার মাধ্যমে।”
বিচারক ডাউটি’র ওই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ‘হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস’ ও ‘হোমল্যান্ড সিকিউরিটি’সহ বেশ কিছু ফেডারেল সংস্থাকে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট সরানোর উদ্দেশ্যে চাপ প্রয়োগ বন্ধ করতে বলা হয়।
অপরাধমূলক কার্যক্রম, জাতীয় নিরাপত্তা ও নির্বাচনে বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপের মতো ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না বলে উল্লেখ করেন বিচারক। বাদবাকি কনটেন্টের বেলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সংশোধনীর আওতায় বাকস্বাধীনতার অধিকারকে কারণ হিসাবে দেখান তিনি।
মামলায় অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমকে ‘অ্যান্টিট্রাস্ট সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ’ নেওয়ার হুমকি দিয়ে সীমা লঙ্ঘন করেছেন ফেডারেল কর্মকর্তারা। আর এটি তাদের ‘সেকশন ২৩০ সুরক্ষা’ আইনেরও লঙ্ঘন, যেটির মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নিজস্ব বিবেচনায় ইন্টারনেটের কনটেন্ট মডারেশনের সুবিধা পায়।
তবে, আলোচিত আদেশটি স্থগিত হওয়ায় আদালত থেকে এই বিষয়ে পরবর্তী আদেশ আসার আগ পর্যন্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর কাজ করা চালিয়ে যেতে পারবে ফেডারেল সংস্থাগুলো।
মামলার বিভিন্ন মৌখিক যুক্তিতর্ক দ্রুত শেষ করার আদেশ দিয়েছে আপিল আদালত যাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সময়ক্ষেপণ কমিয়ে আনা যায়।