ইকুয়েডরে মোরগ লড়াইয়ের আসরে সশস্ত্র হামলায় নিহত ১২

মানাবি প্রদেশের গ্রামীণ এলাকার ওই ভেন্যুতে মোরগ লড়াই দেখতে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিল, তার মধ্যেই হামলার ঘটনাটি ঘটে।

হামলাকারীরা সেনাবাহিনীর পোশাক পরে এসে আসরটিতে হানা দেয়। ছবি: এক্স

ইকুয়েডরে মোরগ লড়াইয়ের এক আসরে সশস্ত্র হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। হামলাকারীরা সেনার ছদ্মবেশ ধরে এসে আসরটিতে হানা দেয়।

মানাবি প্রদেশের গ্রামীণ এলাকা লা ভ্যালেন্সিয়ার এই ঘটনায় আরও নয়জন আহত হয়েছেন, শুক্রবার জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে মোরগ লড়াই দেখতে ওই ভেন্যুতে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিল, তার মধ্যেই হামলার ঘটনাটি ঘটে।

বার্তা সংস্থা মেরকোপ্রেস জানিয়েছে, হামলাকারীদের সঙ্গে লোস লোবস মাদক চক্রের সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা ঘটনাস্থলে এসে নির্বিচার গুলিবর্ষণ শুরু করলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তারা মোরগ লড়াইয়ের আসর থেকে ২০ হাজার ডলার লুট করার পর তিনটি গাড়িযোগে পালিয়ে যায়, পরে একটি গাড়ি অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে হামলার এ ঘটনাটি ঘটে। তিনটি মাইক্রোবাসে করে আসা মোট ১২ জন হামলাকারী এতে অংশ নেয়।

আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে এবং হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। তদন্তকারীরা হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া সামরিক পোশাক উদ্ধার করেছে, একটি অগ্নিদগ্ধ গাড়ি জব্দ করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখছে।

ইকুয়েডরের জাতীয় পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হামলাকারীদের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে। সংগঠিত অপরাধী দলের ঘাতকরা হামলাটি চালিয়েছে বলে ধারণা তাদের।

২০২৩ সালে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র নয় দিন আগে ৯ অগাস্ট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফের্নান্দো ভিয়াভিসেনসিওকে হত্যা করা হয়েছিল। লোস লোবস কার্টেল এই হত্যার দায় স্বীকার করেছিল।