সরকারি সংস্থাগুলো ‘কনটেন্ট মুছে ফেলা, দমন বা এগুলোর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য’ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিকে ‘অনুরোধ, উৎসাহ, চাপ বা প্ররোচিত’ করতে পারবে না।
Published : 05 Jul 2023, 06:09 PM
কনটেন্ট মডারেশন নিয়ে জো বাইডেনের প্রশাসন ও কয়েকটি সরকারি সংস্থার লোকজনকে সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালত।
লুইজিয়ানা ও মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান দল থেকে আসা অ্যাটর্নি জেনারেলরা মামলা করার পর এই রায় এল। তাদের অভিযোগ, মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা ‘স্পর্শকাতর’ পোস্ট ঠেকাতে সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে এত বেশি চাপ দিয়েছে, যা কোভিড ১৯ মহামারীর ভ্যাক্সিন সমস্যা এমনকি নির্বাচনেও ভূমিকা রাখতে পারে।
রায় অনুসারে, প্রথম সংশোধনীর বাক স্বাধীনতা সংশ্লিষ্ট নীতিমালার অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস’ ও ‘এফবিআই’র মতো সরকারি সংস্থাগুলো ‘কনটেন্ট মুছে ফেলা, দমন বা এগুলোর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য’ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিকে ‘অনুরোধ, উৎসাহ, চাপ বা প্ররোচিত’ করতে পারবে না।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, বিচার বিভাগ আদেশটি পর্যালোচনা করছে ও এর বিকল্প ব্যবস্থাগুলো মূল্যায়ন করবে।
মামলাটি দায়ের করেন মিসৌরির সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক স্মিড ও লুইজিয়ানার অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ ল্যান্ড্রি। টুইটারে এই রায়কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি একে ‘বাক স্বাধীনতার জয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন নভেম্বরে রিপাবলিকান পার্টি থেকে মার্কিন সিনেটে নির্বাচিত হওয়া স্মিড।
এই নিষেধাজ্ঞায় কয়েকটি সংস্থার কর্মকর্তার নামও আছে। এর মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘হোমল্যান্ড সিকিউরিটি’ বিভাগের সেক্রেটারি আলেহান্দ্রো মায়োকাস ও ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি’র প্রধান জেন ইস্টার্লি।
‘ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অফ লুইজিয়ানা’য় দায়ের করা মামলায় জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি ও অপরাধমূলক কার্যক্রম নিয়ে সতর্ক করেন বিচারক টেরি ডাউটি। আর কোম্পানি ও সরকারি কর্মকর্তাদের যোগাযোগের উদ্দেশ্যে কয়েকটি ব্যতিক্রম ব্যবস্থাও রেখেছেন তিনি।
এই রায় নিয়ে সর্বপ্রথম প্রতিবেদন করে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট।
মামলা করা রিপাবলিকানদের কাছে মঙ্গলবারের রায়টি ‘বড় জয়’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তারা বলছেন, ভিন্ন মত পোষণকারীদের কণ্ঠরোধের অজুহাত হিসাবে সরকার স্বাস্থ্য সংকট ও ভুল তথ্যের হুমকিকে ব্যবহার করছে।
মার্কিন সরকার বলছে, প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে তারা কোভিড ভ্যাক্সিন সংশ্লিষ্ট ভুল তথ্য বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন কেবল।
এই প্রসঙ্গে ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিক কোম্পানি মেটা, টুইটার ও অ্যালফাবেট মালিকানাধীন ইউটিউবের মন্তব্য রয়টার্স জানতে চাইলে তারা সাড়া দেয়নি।