এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন নতুন এই প্রযুক্তিতে দিন দিন বিনিয়োগ বাড়ছে, একে বিবেচনা করা হচ্ছে ‘ভবিষ্যতের বাহন’ হিসেবে।
Published : 22 Nov 2022, 09:05 PM
ওড়ার আরও একটু কাছে এগোলো উড়ুক্কু ট্যাক্সি। এ বিষয়ে নীতিমালা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর।
সোমবার ‘হেলিকপ্টার ও এয়ারক্রাফটের বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে তৈরি বিভিন্ন মেশিনকে উড়ুক্কু যানের তালিকায় সংযোজন করে নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)।
যে কোনো যানের বাণিজ্যিক উৎপাদন করতে গেলে নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্ধারিত মানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উৎপাদন করতে হয়। উড়ুক্কু ট্যাক্সি বিষয়ে এতোদিন কোনো মান নির্ধারণ করা ছিল না। সেটিই মিলবে সদ্য প্রকাশিত এই নীতিমালায়।
এই নীতিমালার আওতায় সনদ গ্রহন ছাড়া কোনো নির্মাতা কোম্পানি উরুক্কু ট্যাক্সি বিক্রি করতে পারবে না।
এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো, যখন নতুন এই প্রযুক্তিতে দিন দিন বিনিয়োগ বাড়ছে এবং একে বিবেচনা করা হচ্ছে ‘ভবিষ্যতের পরিবহন’ হিসেবে।
শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন এয়ারলাইনের অর্ডারের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্টার্ট-আপে বিনিয়োগকারীরা ‘বাজি ধরায়’ এই প্রচুর আর্থিক বিনিয়োগ আসছে।
‘ইলেকট্রিক ভার্টিকল টেইকঅফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ইভিটিওএল)’ নামে পরিচিত নতুন শ্রেণীর এই উড়ুক্কু যান কোনো রানওয়ে ছাড়াই উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে। পাশাপাশি, একটি প্লেনের মতো দীর্ঘ দূরত্বও ভ্রমণ করতে পারে এটি।
ইলেকট্রিক মোটর ব্যবহারের ফলে এতে শব্দ ও কার্বন দূষণ কমবে।
পাশাপাশি, খুব ব্যয়বহুল না হয়েই জনাকীর্ণ শহরে যানজট কমাতে সাহায্য করার যুক্তি রয়েছে এয়ার ট্যাক্সির পক্ষে। এ ছাড়া, পণ্য পরিবহনের বিকল্প হিসেবেও দেখা হচ্ছে এগুলোকে।
ইউরোপে, ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকের সময় উড়ুক্কু ট্যাক্সি চালুর প্রত্যাশা রয়েছে বলে উঠে এসেছে বিবিসির প্রতিবেদনে।
নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে চাপের মুখে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)’ সোমবার বলেছে, তারা অ্যারোপ্লেন ও হেলিকপ্টারের পাশাপাশি উড়ুক্কু বাহন হিসাবে বিবেচিত যন্ত্রের সংজ্ঞা যোগ করার প্রস্তাব করেছে তালিকায় ‘পাওয়ার্ড লিফট’ শব্দদ্বয় যোগ করে।
২০২৩ সালের গ্রীষ্মে এই ধরনের উড়ুক্কু যান পরিচালনার পূর্ণাঙ্গ নিয়মাবলী প্রকাশের আশা প্রকাশ করছে এফএএ। এর ফলে এ ধরনের যান চালানোর নিয়ম বিষয়ে আরও বিস্তারিত খুঁটিনাটি জানা সম্ভব হবে। তার পরেই কেবল যান ও চালকের লাইসেন্স মিলবে ও ওড়ানো সম্ভব হবে।
সোমবারের এই পদক্ষেপকে ‘অতি জরুরী প্রথম ধাপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ‘জেনারেল এভিয়েশন ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের’ প্রকৌশল ও রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াল্টার ডেসরসিয়ে।
“এটি খুবই ইতিবাচক অগ্রগতি, তবে এর বিস্তারিত এখনও আসা বাকি।”-- বলেন তিনি।