‘ভিনটেজ’ শব্দটি সাধারণত পুরনো অ্যালকোহলিক পানীয়, গাড়ি বা সংগ্রহে রাখা কোনো নিদর্শনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলেও পুরনো ডিভাইস বা পণ্যের ক্ষেত্রে এ শব্দটি ব্যবহার করে অ্যাপল।
Published : 03 Oct 2022, 06:40 PM
অভিষেকের সময়ে বাজারে আলোড়ন তোলা আইফোন ৬ এখন অ্যাপলের চোখেও একটি ‘প্রাগৈতিহাসিক’ পণ্য। পূর্বসূরীদের চেয়ে বড় ডিসপ্লের কারণে বাজারে সাড়া ফেলে দিয়েছিল ডিভাইসটি।
অ্যাপল আইফোনের এ সংস্করণের বিক্রি বন্ধ করেছে বেশ ক’বছর আগেই; ডিভাইসটির জন্য কারিগরি ও নিরাপত্তা সফটওয়্যার কেন্দ্রীক সমর্থন অব্যাহত থাকলেও, সেটিও সম্ভবত বন্ধ হওয়ার পথে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট নাইনটুফাইভ ম্যাক।
অ্যাপল সম্প্রতি আইফোনকে ৬-কে ‘ভিনটেজ’ পণ্যের তালিকাভুক্ত করায় এ শঙ্কার কথা জানিয়েছে সাইটটি।
‘ভিনটেজ’ শব্দটি সাধারণত পুরনো অ্যালকোহলিক পানীয়, গাড়ি বা সংগ্রহে রাখা কোনো নিদর্শনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলেও, পাঁচ থেকে সাত বছরে আগে বাজারজাতকরণ বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরনো ডিভাইস বা পণ্যের ক্ষেত্রে এ শব্দটি ব্যবহার করে অ্যাপল।
নাইনটুফাইভ ম্যাক বলছে, আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাতকরণ বন্ধ করার সাত বছর পর্যন্ত ডিভাইসের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে অ্যাপল, সারাইয়ের সেবাও দেয় কোম্পানিটি।
মজার বিষয় হচ্ছে, অ্যাপল আইফোন ৬ প্লাস ‘ভিনটেজ’ তালিকাভূক্ত করেছে আরও আগেই। তবে, আইফোন ৬ প্লাসের সরবরাহ বন্ধ করার পরেও নির্দিষ্ট কিছু বাজারে আইফোন ৬-এর সরবরাহ চালু রেখেছিল অ্যাপল।
অ্যাপল একসঙ্গে আইফোন ৬ এবং আইফোন ৬ প্লাস উন্মোচন করেছিল ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে। একই সঙ্গে অভিষেক হয়েছিল আইওএস ৮ অপারেটিং সিস্টেমের।
বর্তমানে আইওএস ১২ অপারেটিং সিস্টেম সমর্থন করে আইফোন ৬। ফলে নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট পাচ্ছে ডিভাইসগুলো।
রেটিনা এইচডি ডিসপ্লে আছে আইফোন ৬-এ, অন্যান্য ফিচারের মধ্যে আছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, ৬৪ বিটের এ৮ চিপ এবং ১ জিবি র্যাম।
একই ধরনের হার্ডওয়্যার ছিল আইফোন ৬ প্লাসের; তবে মূল পার্থক্য ছিল পর্দার আকার ও ক্যামেরায়। ‘ফুল এইচডি ডিসপ্লে’ এবং ‘অপটিকাল স্ট্যাবিলাইজেশন’ ফিচার ছিল এ সংস্করণটিতে।
বাজারে অ্যাপলের এনএফসি এবং অ্যাপল পে সেবার অভিষেক হয়েছিল এ ডিভাইসগুলোর মাধ্যমেই।
এ বছরের শুরুতেই অ্যাপল প্রথম প্রজন্মের ম্যাকবুক প্রো এবং টাচ বারকে ‘ভিনটেজ’ পণ্যের তালিকাভূক্ত করেছে বলে জানিয়েছে নাইটুফাইভ ম্যাক।