বেজোসের বেশিরভাগ সম্পদ যেহেতু অ্যামাজনের শেয়ার আকারে আছে, ফলে এর প্রভাব পড়েছে তার ব্যক্তিগত সম্পদেও। এই বছর কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য কমেছে ২৬ শতাংশের বেশি।
Published : 19 Sep 2022, 02:45 PM
অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে সরিয়ে বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তির জায়গা নিয়েছেন ভারতীয় ধনকুবের গৌতাম আদানি। ২০২১ সালে এই বেজোসকে সিংহাসনচ্যুত করেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির আসনে বসেছিলেন স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক।
মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, আদানি গ্রুপের রয়েছে কয়লা উৎপাদন, অবকাঠামো এবং তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানা। এ সবের ভিত্তিতে গ্রুপের এই ৬০ বছর বয়সী চেয়ারম্যানের সম্পদের আকার ১৫ হাজার সাড়ে পাঁচশ কোটি ডলার।
এশিয়ার প্রথম ব্যবসায়ী হিসেবে বিশ্বের সেরা তিন ধনকুবেরের তালিকায় জায়গা নেওয়ার পাশাপাশি ‘ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্স’ তালিকায় ১৪ নম্বর হিসেবে বছর শুরু করে বেশ দ্রুতই র্যাঙ্কিংয়ের সিড়ি টপকেছেন এই ভারতীয় টাইকুন।
ভারতের সংবাদ সাইট ‘কোয়ার্টজ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বন্দর ব্যবস্থা এখন তার মালিকানায়, যেখানে বিমানবন্দর কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সপ্তাহে ব্যাপক হারে বেড়েছে ‘আদানি এন্টারপ্রাইসেস লিমিটেড’-এর শেয়ারমূল্য, যে কারণে সবকিছুই কাজ করেছে আদানির পক্ষে। এমনকি তার কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারমূল্য বেড়েছে এক হাজার শতাংশ পর্যন্ত, যা সর্বশেষ ঘটেছিল ২০২০ সালে।
আদানি ও মাস্কের সম্পদের ফারাক এখন ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি, যেখানে টেসলা প্রতিষ্ঠাতার নেটমূল্য ২৬ হাজার কোটি ডলার।
ব্রিটিশ অনলাইন সংবাদপত্র ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মুকুট ফিরে পাওয়া বেজোসের জন্য কষ্টসাধ্য কারণ তার কোম্পানির শেয়ার মূল্য নতুন করে কমার পর নিউইয়র্কে শুক্রবার সকালে তার নেটমূল্য কমে দাড়িয়েছে ১৪ হাজার পাঁচশ ৮০ কোটি ডলারে।
তবে, এই পরিস্থিতি পাল্টে গেলে পুনরায় নিজের হারানো অবস্থান ফিরে পেতে পারেন এই মার্কিন ধনকুবের। বেজোসের বেশিরভাগ সম্পদ যেহেতু অ্যামাজনের শেয়ার আকারে আছে, এর প্রভাব পড়েছে তার ব্যক্তিগত সম্পদেও। এই বছর কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য কমেছে ২৬ শতাংশের বেশি।
আদানির বিশ্ব র্যাংকিংয়ে সেরাদের পর্যায়ে পৌঁছানোর যাত্রা শুরু হয়েছে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে, যখন তিনি স্বদেশী ধনকুবের মুকেশ আম্বানিকে সরিয়ে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির খেতাব পান।
এপ্রিলেই অভিজাত উদ্যোক্তাদের ছোট এক তালিকায় নাম লেখান তিনি যাদের নেট সম্পদ দশ হাজার কোটি ডলারের বেশি। এ শ্রেণির ব্যক্তিদের ‘সেন্টিবিলিয়নেয়ার’ বলে।
গ্রীষ্ম পোরোনোর আগেই মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও ফ্রান্সের বার্নার্ড আর্নোর মতো ধনকুবেরকে টপকে গেছেন তিনি।