চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো একজন মানবরোগীর মস্তিষ্কে এই ব্রেইন চিপ ডিভাইসটি বসিয়েছে নিউরালিংক। চিপটি মস্তিষ্কে সঠিকভাবে বসানোর জন্য একটি রোবট ব্যবহার করেছিল কোম্পানিটি।
Published : 21 Feb 2024, 02:39 PM
চিন্তার মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো কম্পিউটারের মাউস নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা অর্জন করেছেন নিউরালিংকের ব্রেইন চিপ প্রতিস্থাপন করা রোগী —এমনই দাবি কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ মাস্ক বলেছেন, “ব্রেইন চিপ প্রতিস্থাপন করা ওই রোগী কোনও বাজে প্রভাব ছাড়াই সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। আর এ ব্যাপারে আমরা সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি, যেখানে তিনি কেবল চিন্তা করেই কম্পিউটার স্ক্রিনের চারপাশে মাউসের কার্সর সরাতে পেরেছেন।”
মার্কিন ধনকুবের মাস্কের স্টার্টআপ কোম্পানি নিউরালিংক এমন এক ব্রেইন চিপ বানিয়েছে, যেটি এমনভাবে নকশা করা যে, এর মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কে থাকা বিভিন্ন নিউরাল সিগন্যাল ব্যবহার করে যেন বাহ্যিক যন্ত্রাবলী নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কোম্পানিটির লক্ষ্য, এর মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি, মোটর ফাংশন ও বাকশক্তি হারানো রোগীদের সক্ষমতা ফিরিয়ে আনা।
তবে, এই বিষয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি নিউরালিংকের মন্তব্য জানতে চাইলেও সাড়া মেলেনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো একজন মানবরোগীর মস্তিষ্কে এই ব্রেইন চিপ ডিভাইসটি বসিয়েছে নিউরালিংক। চিপটি যেন মস্তিষ্কে সঠিকভাবে বসে যায়, তার জন্য একটি রোবটও ব্যবহার করেছিল কোম্পানিটি।
টেসলা’র নির্বাহী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাস্ক বলেছেন, নিউরালিংক চেষ্টা করছে, রোগীর চিন্তাশক্তি দিয়ে যেন ‘যত বেশি সম্ভব’ ততটা বাটন প্রেস করানো যায়। এর মধ্যে রয়েছে মাউসের কার্সর দিয়ে স্ক্রিনে থাকা বিভিন্ন বক্সকে ওপর ও নীচের দিকে ‘ড্র্যাগ’ করানোর বিষয়টিও।
এক ব্লগ পোস্ট অনুসারে, গত বছরের শরৎ থেকেই মানুষের ওপর চিপ বসানোর জন্য রোগী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে নিউরালিংক। আর মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)’র কাছ থেকে কোম্পানিটি এর অনুমোদন পেয়েছিল গত বছরের মে মাসে।
এতে করে মানুষের ওপর বাণিজ্যিকভাবে চিপ বসানোর লক্ষ্যমাত্রার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল নিউরালিংক।
তবে, এফডিএ’র চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার আগে নিউরালিংকের মতো মেডিকেল ডিভাইস কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই বেশ কয়েক ধাপের জটিল ডেটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।