Published : 01 Dec 2022, 05:27 PM
মানুষ হত্যার সক্ষমতা আছে – এমন রোবট ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকো শহরের পুলিশ বিভাগ।
দৈনন্দিন তদন্তে নয়, কেবল চরম পরিস্থিতিতেই বিস্ফোরকবাহী রোবট ব্যবহার করতে পারবেন তারা।
স্যান ফ্রান্সিসকোর পুলিশ বিভাগ (এসএফপিডি) বিবিসিকে বলেছে, প্রাণঘাতী বল প্রয়োগে সক্ষম কোনো রোবট এখনও নেই তাদের অস্ত্রাগারে। তবে, ভবিষ্যতে জরুরী প্রয়োজনে এমন রোবট ব্যবহার করতে পারবেন তারা।
রোবটের সম্ভাব্য ব্যবহার ব্যাখ্যা করে পুলিশের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, “সহিংস, সশস্ত্র এবং বিপজ্জনক অপরাধীরা ঘাঁটি গেড়েছে এমন সুরক্ষিত আস্তানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে রোবটের সঙ্গে বিস্ফোরক জুড়ে দেওয়া হতে পারে।”
অপরাধীদের ‘অজ্ঞান বা বিভ্রান্ত’ করতেও রোবট ব্যবহারের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন তারা।
পুলিশি কাজে রোবট ব্যবহারের সমর্থকদের দাবি, কেবল চরম পরিস্থিতিতেই রোবটগুলো ব্যবহৃত হবে। তবে, এর বিরোধীরা বলছেন, এর ফলে পুলিশ বাহিনীর সামরিকায়ন আরও তরান্বিত হতে পারে।
বিবিসি জানিয়েছে, স্যান ফ্রান্সিসকো পুলিশ প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগে সক্ষম রোবট ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে মঙ্গলবার। পরিস্থিতি শান্ত করার বা নিয়ন্ত্রণে আনার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হলে তবেই কেবল বিশেষ এই রোবট ব্যবহার করতে পারবেন পুলিশ অফিসাররা।
আর এমন রোবট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার সক্ষমতা থাকবে কেবল পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হাতে। বিবিসি জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রদেশে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগে সক্ষম রোবট ব্যবহারের চল আছে।
২০১৬ সালে এক স্নাইপারের প্রাণনাশে সি-ফোর বিস্ফোরকবাহী রোবট ব্যবহার করেছিল ডালাস, টেক্সাসের পুলিশবাহিনী। ওই স্নাইপারে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন দুই পুলিশ অফিসার; আহত হয়েছিলেন আরও কয়েকজন।
পুলিশি কাজে রোবট ব্যবহারের যৌক্তিকতার ব্যাখ্যা দিয়ে এক এসএফএফপিডি মুখপাত্র বলেছেন, “কোনো নীতিমালাই একজন অফিসার কর্মক্ষেত্রে মুখোমুখী হতে পারেন এমন সব ধরনের সম্ভাব্য বা ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি আগাম অনুমান করতে পারে না। এসএফপিডিকে এক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিতেই হবে এবং অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে।”
তবে পুলিশি কাজে রোবট ব্যবহারের বিরোধীরা বলছে, এ ধরনের নীতিমালার কারণে দায় এড়িয়ে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগের সুযোগ বাড়বে। ‘স্টপ কিলার রোবট’ ক্যাম্পেইন দলের সদস্য ড. ক্যাথেরিন কনেলির মতে, এ অনুমোদনের ফলে, ‘প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ এর পরিণতির সঙ্গে মানুষের দুরত্ব বাড়বে।”