“তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ডানহাত হয়ে উঠবেন। প্রেসিডেন্টের আস্থাভাজন হওয়ায় আপাতত তার সক্ষমতাও বেড়ে যাবে।”
Published : 09 Nov 2024, 01:22 PM
ইলন মাস্ক এখন প্রশ্নাতীতভাবেই নতুন আমেরিকার মিডিয়ার রাজা।
প্রযুক্তি সংবাদকর্মী চার্লি ওয়ারজেল এক সময় ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বা মাগা মিডিয়াকে আখ্যা দিয়েছিলেন ‘নিউ মিডিয়ার ওলটপালট’ বলে, যা উঠে এসেছিল জনপ্রিয় নেটফ্লিক্স সিরিজ স্ট্রেঞ্জার থিংস-এ।
এদিকে, ভক্স-এর সংবাদকর্মী শন ইলিং একে বলছেন ‘কল্পনা ও শিল্পের জটিল অবস্থা’। আর উইকিপিডিয়া একে ডাকছে ‘ডানপন্থী বিকল্প মিডিয়া’ বলে।
মাস্ক, গত দুই বছর ধরে সময় দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সামাজিক নেটওয়ার্ক এক্স (তৎকালীন টুইটার)’কে নতুন রূপ দেওয়ার পেছনে। প্ল্যাটফর্মটির অ্যালগরিদমভিত্তিক ভুল তথ্য ছড়ানোর জগৎকে তিনি ‘সিটিজেন জার্নালিজম’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। যদিও তার ব্যাখ্যা অনেকটা প্রচলিত সাংবাদিকতার মতো শোনায়।
এ সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্প জেতার পর ‘মাগা মিডিয়া ইউনিভার্স’ই নতুন মূলধারার গণমাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হবে, এমন সম্ভাবনাও আছে।
“এই নির্বাচনের বাস্তবতা এক্স-এ সরাসরি দেখা গেছে, যেখানে বেশিরভাগ বনেদি গণমাধ্যম জনসমক্ষে নির্লিপ্তভাবে মিথ্যা বলে গেছে,” বুধবার সকালে নিজের ২০ কোটি ৩০ লাখ ফলোয়ারকে বলেন মার্কিন ধনকুবের মাস্ক।
“আপনি নিজেই এখন গণমাধ্যম।”
ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবারের ফলাফল ডনাল্ড ট্রাম্পের সক্ষমতার প্রমাণ দেখিয়েছে, যেখানে ‘বনেদি’ সংবাদপত্র ও টিভি নেটওয়ার্কগুলো ট্রাম্পের অপরাধী কার্যক্রম ও ২০২০ সালের নির্বাচন নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সামনে আনলেও বিভিন্ন পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ আউটলেট, অনলাইন ও নিজস্ব কমিউনিটির বদৌলতে তার জনপ্রিয়তা অক্ষুন্নই থেকে যায়।
২০২১ সালের জানুয়ারির পর থেকে এ বছরের আগ পর্যন্ত মূলধারার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প নিষিদ্ধ ছিলেন। তবে, এতে তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি।
“এতদিন ছিল ট্রাম্প, এখন এসেছে মাস্ক,” বলেন ‘কিউএনন’ ষড়যন্ত্র নিয়ে ২০২২ সালে প্রকাশিত ‘দ্য স্টর্ম ইজ আপন আস’ বইয়ের লেখক ও সংবাদ কর্মী মাইক রথসচাইল্ড।
“এ মাধ্যমে প্রধান পোস্টারবয়ের তকমাটি এখন দখলে নিয়েছেন মাস্ক। আর এটা তিনি সত্যিই ভালবাসেন।”
ট্রাম্প যেহেতু হোয়াইট হাউজে পাড়ি জমাচ্ছেন, আর দুই বছর আগে মাস্ক চার হাজার চারশ কোটি ডলারে টুইটার অধিগ্রহণ করায়, বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, তিনি একে ট্রাম্পপন্থী তথ্য ছড়ানোর ব্যবস্থায় রূপান্তর করবেন। ফলে, এ আন্দোলন নিয়ে আরও বড় সমর্থন পেতে পারেন তিনি।”
“এতে করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ডানহাত হয়ে উঠবেন,” বলছেন রথসচাইল্ড।
“প্রেসিডেন্টের আস্থাভাজন হওয়ায় আপাতত তার সক্ষমতাও বেড়ে যাবে।”
এ বিষয়ে ইলন মাস্কের মন্তব্য জানতে চেয়েছিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট।