Published : 23 Feb 2025, 04:26 PM
বাইবিট থেকে দেড়শ কোটি ডলারের ক্রিপ্টোমুদ্রা চুরি করেছে হ্যাকাররা, যা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুরি বলে দাবি কোম্পানিটির।
দুবাইভিত্তিক এ কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের বলেছে, তাদের ক্রিপ্টোমুদ্রা ‘নিরাপদ’ রয়েছে এবং এ হ্যাকিংয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফেরত দেবে তারা।
বাইবিট বলেছে, কোম্পানিটির ডিজিটাল ‘ইথেরিয়াম ওয়ালেট’ থেকে এ অর্থ চুরি করেছে হ্যাকাররা। বিটকয়েনের পরে মূল্যের দিক থেকে দ্বিতীয় বড় ক্রিপ্টোমুদ্রা ইথেরিয়াম বা ইথার।
কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা বেন ঝৌ বলেছেন, এ অর্থ কোম্পানিটির মাধ্যমে বা পার্টনারদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে মেটানো যেতে পারে। বাইবিটের মোট সম্পদের পরিমাণ দুই হাজার কোটি ডলার।
ক্রিপ্টো কোম্পানিটি বলেছে, তাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা ফিচারকে কাজে লাগিয়ে ওই অর্থ কোনো অজ্ঞাত ঠিকানায় পাঠিয়েছে হ্যাকাররা।
এ ঘটনার পর শুক্রবার ইথেরিয়ামের মূল্য কমেছে প্রায় চার শতাংশ। ফলে প্রতি কয়েনের মূল্য দুই হাজার ছয়শ ৪১ ডলারে নেমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
এর আগে, ২০২২ সালে ‘রনিন নেটওয়ার্ক’ থেকে ৬২ কোটি ডলার মূল্যের ‘ইথেরিয়াম’ ও ‘ইউএসডি’ কয়েন চুরির ঘটনা ছিল ক্রিপ্টোমুদ্রা চুরির অন্যতম বড় ঘটনা। তবে ওই রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে বর্তমানে বাইবিটের এই খোয়া যাওয়া অর্থ।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বাইবিটের প্রাথমিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক পেপ্যাল প্রধান পিটার থিল।
বাইবিট বলেছে, গোটা বিশ্বে এটির ব্যবহারকারী রয়েছে ৬ কোটিরও বেশি এবং বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অ্যাক্সেস সরবরাহ করে তারা।
“এ পরিমাণ অর্থ ফিরিয়ে আনা না গেলেও বাইবিট এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। আমরা ব্যবহারকারীদের এ ক্ষতি পূরণ করতে পারবো,” বলেছেন ঝো।
ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে কোম্পানিটি বলেছে, কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি হ্যাকারদের খুঁজে বের করতে ‘দ্রুত ও বিস্তৃত পরিসরে’ কাজ করছে বাইবিট।
বিবিসি লিখেছে, বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা বিভিন্ন ক্রিপ্টোমুদ্রা বিভাজনের জন্ম দিয়েছে। কারণ, অনেকে কেবল অনুমানের উপর ভিত্তি করে এগুলোর দাম নির্ধারণ করেছেন। ফলে ক্রিপ্টোমুদ্রার মূল্য সহজেই হেরফের করা সম্ভব।
সম্প্রতি নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা চালুর কারণে সমালোচিত হয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ওই সময় তিনি বলেন, ক্রিপ্টোমুদ্রা সম্পর্কে “খুব বেশি কিছু” জানেন না ট্রাম্প।
এর আগে, বিটকয়েন নিয়ে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্টের অন্যতম উপদেষ্টা, বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা টেসলার মালিক ও মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কও।