Published : 11 Mar 2025, 03:50 PM
ঘুমানোর আগে টিনএজারদের মনে প্রশান্তি আনতে ও অ্যাপটির ব্যবহার থেকে দূরে সরে যেতে সহায়তার জন্য নতুন এক মাইন্ডফুলনেস টুল চালু করছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক।
ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির ‘উইন্ড ডাউন’ নামের নতুন এ টুলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে যদি ১৬ বছরের কম বয়সী কোনো টিকটক ব্যবহারকারী রাত ১০টার পর অ্যাপটি ব্যবহার করেন।
এরপর টিকটকের পুরো ফিডটি বন্ধ হয়ে যাবে ও অ্যাপটিতে টিনএজারদের মনে প্রশান্তি আনতে গান বাজতে শুরু করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্টটি বলেছে, সামনের সপ্তাহগুলোতে ফিচারটির অংশ হিসেবে বাড়তি মেডিটেশন পরীক্ষাও শুরু করবে তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো সামাজিক মাধ্যম সরাসরি ব্যবহারকারীদের কাছে মাইন্ডফুলনেস টুল পৌঁছে দিচ্ছে এবং টিকটকের বিস্তৃত আপডেটের অংশ হিসেবে আসছে এ পদক্ষেপ।
অভিভাবদের জন্য এটিতে ‘টাইম অ্যাওয়ে’ নামের একটি নতুন টুলও রয়েছে। এর মাধ্যমে টিকটক থেকে নির্দিষ্ট সময়ে যেমন খাবারের সময়, স্কুল, রাতে বা ছুটির সময় সন্তানদের অ্যাপ ব্লক করতে পারবেন মা-বাবারা।
এর আগ পর্যন্ত টিকটক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মা-বাবারা কেবল তাদের সন্তানদের ‘স্ক্রিন টাইম’ ও রাতে শিশুরা কতো সময় ফিডে থাকবে তা নির্ধারণের সুযোগ পেতেন। দিনের বেলা সন্তানদের ফিডে থাকার সময়সীমা নির্ধারণের সুযোগ পাননি তারা।
টিকটকের ‘গ্লোবাল হেড অফ আউটরিচ অ্যান্ড পার্টনারশিপস, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেইফটি’ ভ্যাল রিচি বলেছেন, টিনএজারদের সুস্থতার জন্য ‘ধারাবাহিকভাবে সতায়তা’ দিতে চায় প্ল্যাটফর্মটি।
তিনি বলেছেন, “এর মানে হচ্ছে টিনএজারদের স্বাস্থ্যকর ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তার জন্য নতুন উপায় খুঁজে বের করা। আর এটি কেবল ব্লক ও ঠেকানোর বিষয় হতে পারে না। এটা শিক্ষা ও উন্নয়নের বিষয়ও।
“ধারণাটি কিছু গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, ঘুমের মান উন্নত করতে সহায়ক মেডিটেশন। অবশ্যই, আমি মনে করি এমন অনেক ব্যবহারকারী আছেন যাদের বেলায় এ টুলটি কাজে আসবে।”
রিচি বলেছেন, এসব আপডেট টিকটকের ‘ফ্যামিলি পেয়ারিং’ টুলের অংশ, যার লক্ষ্য হচ্ছে টিনএজারদেরকে স্বাধীনতা দেওয়া ও অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের ওপর নজর রাখার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা।
“টিনএজাররা কীভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে ও তাদের মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে সে বিষয়ে আমরা তাদের সহযোগিতা করতে চাই।”