‘লং মার্চ ১২’ নামের রকেটটি উৎক্ষেপিত হয়েছে শনিবার। পৃথিবীর নিম্নকক্ষপথে রকেটটির পেলোড বহনের সক্ষমতা ১২ টন।
Published : 02 Dec 2024, 04:43 PM
সম্প্রতি এক নতুন ধরনের রকেট উৎক্ষেপণ করেছে চীন। এ উৎক্ষেপণে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক স্পেসপোর্ট বা মহাকাশ বন্দর ব্যবহার করেছে দেশটি।
শনিবার উৎক্ষেপিত ‘লং মার্চ ১২’ নামের রকেটটি তৈরি করেছে ‘সাংহাই একাডেমি অফ স্পেসফ্লাইট টেকনোলজি বা এসএএসটি’। পৃথিবীর নিম্নকক্ষপথে রকেটটির পেলোড বহনের সক্ষমতা ১২ টন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এমএসএন।
দুই-পর্যায়ের লঞ্চারটিতে রয়েছে একটি একক-কোর, যা তরল অক্সিজেন-কেরোসিন চালিত চারটি ইঞ্জিনের মাধ্যমে চলে। এই মিশনে রকেটটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৩.৮ মিটারের পেলোড ফায়ারিং সিস্টেম।
তবে রকেটটিকে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না। ডিজাইনে এই সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে হয়েছে দ্রুততম সময়ে উৎক্ষেপণের জন্য। ৪.২ বা ৫.২ মিটার, দুই ব্যাসের রকেটই ব্যবহার করা যাবে এতে। ফলে কার্গোর আকার অনুসারে উপযুক্ত বাহন এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া যাবে।
চীনের দক্ষিণ দিকের এক দ্বীপ প্রদেশে অবস্থিত ‘হাইনান কমার্শিয়াল স্পেস লঞ্চ সেন্টার’ থেকে উৎক্ষেপিত হয়েছে রকেটটি। চীনের এ অঞ্চল থেকে প্রথমবারের মতো কোনো রকেট উৎক্ষেপিত হল। চীন আশা করছে, এ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিভিন্ন বেসরকারি মহাকাশ কোম্পানিও এই লঞ্চ সাইটটি ব্যবহার করবে।
বেইজিং বলেছে, ‘সান-সিঙ্ক্রোনাস’ কক্ষপথে পৌঁছানোর লক্ষ্যে চীনের সক্ষমতা বাড়াবে নতুন রকেটটি, যেটি বিভিন্ন উপগ্রহকে প্রতিদিন একই সময়ে পৃথিবীর একই বিন্দুর উপর দিয়ে যেতে সাহায্য করবে। ফলে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ বা নজরদারিবান্ধব হবে এটি।
এই নতুন রকেটটির পৃথিবীর ‘নিস্ন-কক্ষপথে স্যাটেলাইটগুচ্ছের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং সক্ষমতা’ বাড়াবে বলে এ বিষয়ে প্রকাশ করা ঘোষণায় উল্লেখ করেছে চীন। এ বিষয়টি সম্ভবত ভাবষ্যতে স্পেস ব্রডব্যান্ডে চীনের নজরের ইঙ্গিত দেয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এমএসএন।
এরইমধ্যে আরও শক্তিশালী বুস্টার মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে চীন। তবে ‘লং মার্চ ১২’-কে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এ সিরিজের পূর্ববর্তী রকেটের চেয়ে এটি যথেষ্টই উন্নত। আর এটিই চীনের চার-মিটার শ্রেণির প্রথম লঞ্চার।
গত শুক্রবার চীন বলেছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে ‘বেইদু’ নেটওয়ার্কের নেভিগেশন স্যাটেলাইট নতুন করে সাজাবে তারা। যার আওতায় পৃথিবীর মাঝারি-কক্ষপথে তৃতীয় প্রজন্মের গুচ্ছে থাকবে ২৪টি স্যাটেলাইট। এর উৎক্ষেপণ শুরু হবে ২০২৯ সালে এবং চলবে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত।