অ্যাপল কর্মীদের প্রথম শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
Published : 21 Jun 2022, 02:05 PM
সম্প্রতি প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের ইতিহাসে প্রথম শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন টোউসন, ম্যারিল্যান্ডের অ্যাপল স্টোর কর্মীরা। প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, “আমি তাদের নিয়ে গর্বিত।”
সোমবার সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “কোন পরিস্থিতিতে তারা কাজ করতে চান অথবা চান না, সেটি নির্ধারণের অধিকার শ্রমিকদের আছে।”
বাইডেন খোলাখুলি শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনে সমর্থন দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই। সম্প্রতি অ্যামাজন ও স্টারবাকসের শ্রমিক ইউনিয়ন সংগঠকদের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। শ্রমিক ইউনিউয়ন থাকলে তা পণ্যসহ ‘সবার জন্যই ইতিবাচক’ বলে মন্তব্য করেছেন বাইডেন।
গেল সপ্তাহে সাপ্তাহিক ছুটিন দিনে শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভোটি করেছেন টোউসন টাউন সেন্টারের অ্যাপল স্টোর কর্মীরা। ভোটে দ্বিগুণ ভোটে জিতেছেন ইউনিয়ন সমর্থকরা।
সিএনএন জানিয়েছে, অ্যাপল কর্মীরা তাদের ইউনিয়নকে ডাকছেন ‘অ্যাপল কোয়ালিশন অফ অর্গানাইজড রিটেইল এমপ্লোইস’ বা ‘অ্যাপলকোর’ নামে। শিল্পখাতের শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ মেশিনিস্ট অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ওয়ার্কার্স ট্রেড ইউনিয়ন’ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন অ্যাপল কর্মীরা।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন অ্যাপল কর্মীদের সাধুবাদ জানানোতে টুইট করে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মেশিনিস্ট ইউনিয়ন।
কর্মীদের ইউনিয়ন গঠন প্রসঙ্গে অ্যাপলের প্রতিক্রিয়া জানতে সিএনএন প্রযুক্তি জায়ান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর দেননি কোম্পানির এক মুখপাত্র। আগের এক বিবৃতিতে অ্যাপল বলেছিল, “আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের এতো ভালো একদল বিক্রয় কর্মী আছে।”
ভোট গণনা শেষে শনিবারেই এক অ্যাপল কর্মী সিএনএনকে জানিয়েছেন, অ্যাপলে ইউনিয়ন গঠন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রতিনিধিত্ব করার বড় পরিকল্পনারই অংশ।
“আর্থিক দিকটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বাড়তে থাকা জীবনযাত্রার খরচ আর মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় নিলে। কিন্তু, আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কথা বলার অধিকার। আমার জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।”-- বলেছেন অ্যাপল স্টোরের কারিগরি বিশেষজ্ঞ এবং ইউনিয়ন সংগঠকদের একজন ক্রিস্টিন প্রিজেন।
সিএনএন জানিয়েছে, মহামারীর লকডাউন চলাকালীন শ্রমিক অধিকার নিয়ে আন্দোলনের ব্যপ্তি ও গতি দুটোই বেড়েছে। তারই প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপলে শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনের চেষ্টাও নতুন গতি পেয়েছিল। মহামারীর শঙ্কট প্রযুক্তি খাতের কর্মীদের নিরাপত্তা ও বেতন-ভাতা নিয়ে শঙ্কা নতুন করে স্পটলাইটে নিয়ে এসেছে।