শীর্ষ বাণিজ্যিক সফটওয়্যার নির্মাতা এসএপি বিশ্বজুড়ে তার প্রায় এক লাখ কর্মীর জন্য নমনীয় কর্মঘণ্টার কাঠামো গ্রহন করেছে। কোভিড-১৯ মহামারীতে বাসা-থেকে-কাজের ব্যপক সাফল্যের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
Published : 01 Jun 2021, 11:26 PM
নিজেদের অভ্যন্তরীন জরিপে কর্মীদের মধ্যে শতকরা ৯৪ জনই কর্মঘণ্টায় নমনীয়তার সুযোগ নিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। আর কর্মীদের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক সপ্তাহে দুই দিন কর্মস্থলে গিয়ে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠানটি যার প্রধান কার্যালয় জার্মানীতে।
এতে কর্মীরা শতকরা একশ' ভাগ নমনীয়তা পাবেন বলে রয়টার্সকে জানান এসএপি'র নবনিযুক্ত প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জুলিয়া হোয়াইট।
হোয়াইট নিজেও এই প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন অনলাইনে। তিনি তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। জানুয়ারিতে মাইক্রোসফট ছেড়ে এখানে যোগ দেওয়ার পর কেবল গত সপ্তাহে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ক্রিশ্চিয়ান ক্লেইনসহ বিভিন্ন শীর্ষ নির্বাহীর সঙ্গে মুখোমুখি দেখা করেছেন।
সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত চেনাজানা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি হোয়াইট বলেন, সন্তানের 'সিঙ্গল মাদার' হিসেবে কর্মঘণ্টার নমনীয়তা তাকে যে পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনের কাজগুলো সেরে নেওয়ার সুবিধা দেয় সেটিও যথেষ্ট মূল্যবান।
মঙ্গলবার কর্মীদের উদ্দেশ্যে এক সাধারণ মেইলে এসএপি বলেছে, প্রতিষ্ঠানটি “নমনীয় এবং বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে কর্মস্থলের বিষয়টিকে ব্যতিক্রম নয় বরং সাধারণ মান হিসেবে গ্রহন করছে”।
কর্মীরা নতুন নিয়মের আওতায় অফিস, বাসা বা অন্য কোনো স্থানে থেকে নিজেদের সুবিধামতো কাজের সময় ঠিক করে নিতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানটি কাজের সূত্রে যোগাযোগ এবং দলগতভাবে কাজের জন্য অফিসকে নতুনভাবে নকশা করবে যাতে কর্মীরা আরও জায়গা ও সুযোগ পান।
এসএপি'র এই সিদ্ধান্ত আরও বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের অনুরূপ। যেমন, ফেইসবুক ঘোষণা করেছে করোনাভাইরাস মহামারী কেটে যাওয়ারর পরও এর কর্মীরা দূর থেকে কাজ করতে পারবেন।
এসএপি'র এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কর্মীদের বিভিন্নরকম পছন্দ বেছে নেওয়ার বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির শতকরা ১৬ জন গোটা সপ্তাহই অফিসের বাইরে থেকে কাজ করতে চান। অপরদিকে শতকরা ছয় জন চান সপ্তাহের পাঁচদিনই অফিসে এসে কাজ করতে।