সরবরাহকারীর জন্য প্রযোজ্য নীতিমালা অমান্য করার দায়ে তাইওয়ানিজ প্রতিষ্ঠান পেগাট্রনকে ‘পরীক্ষাধীন’ প্রক্রিয়ায় রেখেছে অ্যাপল। শিক্ষার্থী কর্মীদেরকে রাতের শিফটে কাজ করতে বলায় পেগাট্রনের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
Published : 09 Nov 2020, 07:56 PM
প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শিক্ষার্থী কর্মীদেরকে ভুলভাবে শ্রেণিভুক্ত করেছে পেগাট্রন এবং নীতিমালা অমান্য করার বিষয়টি আড়াল করতে মিথ্যা নথি তৈরি করেছে। কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মূল পাঠ্যবিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন কাজও তাদেরকের দিয়ে করানো হয়েছে বলে দাবি অ্যাপলের।
অ্যাপলের বেশ কিছু তাইওয়ানিজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের একটি পেগাট্রন। আইফোন প্রস্তুতকারী চেইনের আধিপত্য ধরে রেখেছে আরেক তাইওয়ানিজ প্রতিষ্ঠান ফক্সকন।
বিবৃতিতে অ্যাপল বলেছে, “কয়েক সপ্তাহ আগে আমরা জানতে পেরেছি, চীনে আমাদের বেশ কিছু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের একটি পেগাট্রন শিক্ষার্থীদেরকে কাজে অংশ নেওয়ার প্রকল্পে অ্যাপলের সরবরাহ নীতিমালা অমান্য করেছে।”
সময়সীমা না বললেও প্রতিষ্ঠানটি বলছে, “পেগাট্রনকে পরীক্ষণে রেখেছে অ্যাপল এবং সব সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত অ্যাপলের কাছ থেকে নতুন কোনো চুক্তি পাবে না পেগাট্রন।”
জোর করে কাজ করানো বা অপ্রাপ্তবয়স্ক কর্মীর কোনো প্রমাণ উঠে আসেনি অ্যাপলের তদন্তে।
“আমাদের নজরদারি কাঠামো ফাঁকি দিতে পেগাট্রনের ওই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছেন,” যোগ করেছে অ্যাপল।
এদিকে আলাদা বিবৃতিতে পেগাট্রন জানিয়েছে, স্থানীয় আইন এবং নীতিমালা না মেনেই শাংহাই এবং কুশান ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী কর্মীদেরকে কাজ করতে দেখা গেছে।
এখন তাদেরকে উৎপাদন সারি থেকে সরানো হয়েছে এবং “যতাযথ ক্ষতি পূরণ দেওয়া হয়েছে” বলেও জানিয়েছে পেগাট্রন।
শ্রম ব্যবস্থার চর্চা নিয়ে এর আগেও অভিযোগ উঠেছে অ্যাপল এবং তার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তবে, আইফোন সরবরাহ চেইনের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে সব ঠিকঠাক করার চেষ্টা করছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।