লন্ডনের রাস্তায় আবারও চলার অনুমতি পেতে আদালতে লড়বে উবার। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের রাস্তায় চলার জন্য উবারকে নতুন করে আর অনুমোদন দেয়নি ‘ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন’ (টিএফএল)।
Published : 15 Sep 2020, 04:48 PM
সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রশ্নে উবার “ব্যর্থতার নমুনা” দেখিয়েছে বলে জানিয়েছিল টিএফএল। এর আগে ২০১৭ সালেও উবারকে অনুমোদন দিতে চায়নি টিএফএল। পরে বিচারক প্রতিষ্ঠানটিকে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে অনুমোদন দেন, এবং উবারও নিজ ব্যবসা মডেল পরিবর্তন করে।
কিন্তু আবারও বাদ সাধে টিএফএল। ২০১৯ সালে এসে অনুমোদন আটকে দেয় প্রতিষ্ঠানটির। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, ওই অনুমোদন ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যেই মঙ্গলবার আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে উবারের।
“টিএফল এর উদ্বেগ নিরসনের লক্ষ্যে আমরা গত কয়েক মাস কঠোর পরিশ্রম করেছি, চালকদের জন্য রিয়েল টাইম আইডি নিয়ে এসেছি, এবং আমরা মানুষকে শহরে নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” – বলেছেন উবারের উত্তর এবং পূর্ব ইউরোপ প্রধান জেমি হেউড।
গত বছরের নভেম্বরে টিএফএল জানিয়েছিল, অননুমোদিত চালকরা অন্যান্য উবার অ্যাকাউন্টে ছবি আপলোড করতে পারেন, এবং এভাবে অন্তত ১৪ হাজার ট্রিপ সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে যাত্রীদের কাছে একজনের বদলে অন্য চালক গিয়েছেন।
আদালতে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি কার্যক্রমে অংশ নেবেন বিচারক ট্যান ইকরাম।
আপিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত লন্ডনে নিজ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবেন উবারের ৪৫ হাজার চালক। রয়টার্স জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক মাস থেকে শুরু করে বছরখানেক পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
শুধু যুক্তরাজ্যের লন্ডনেই নয়, অতীতে অন্যান্য আরও অনেক স্থানের নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গেও সমস্যায় জড়িয়েছে উবার। চাপের মুখে অনেক বাজার থেকে সরেও আসতে হয়েছে রাইড হেইলিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটিকে।
লন্ডনের প্রচলিত চ্যাক্সি সেবায় কৃষ্ণাঙ্গ চালকরা উবারকে তাদের আয় রোজগারের প্রতি হুমকি হিসেবেই দেখছেন। এর আগে সড়ক আটকে প্রতিবাদ করেছেন তারা। চলমান এই মামলাটিতেও তাদের সংগঠন 'লাইসেন্সড ট্যাক্সি ড্রাইভারর্স অ্যাসোসিয়েশন' একটি পক্ষ হিসেবে আছে।