নির্বাচন পরবর্তী ভুয়া তথ্যের প্রচার ঠেকাতে মার্কিন নির্বাচনের দিন থেকেই রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখার ব্যাপারে বিবেচনা করছে ফেইসবুক।
Published : 22 Aug 2020, 06:42 PM
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এ ব্যাপারে অবগত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র শুক্রবার খবরটি জানিয়েছে। ওই সূত্রের ফেইবুকের পক্ষ হয়ে কথা বলার অনুমোদন না থাকায় পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কথা বলেছেন তিনি।
সূত্রের তথ্য অনুসারে, এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটি, সম্ভাব্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেছে। এরকম সম্ভাব্য পরিস্থিতির মধ্যে উঠে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হিসেবও। নির্বাচনের পর তিনি নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে প্ল্যাটফর্মটিতে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারেন এমন ধারণাও আমলে নিয়েছে ফেইসবুক।
শুক্রবারের এক নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদন অজ্ঞাতনামা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ফেইসবুক প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ও প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজন নির্বাহী রোজ বৈঠক করেছেন। ঠিক কীভাবে প্ল্যাটফর্মকে বিতর্ক থেকে দূরে রাখা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় নভেম্বরের তিন তারিখের নির্বাচনের পর রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের জন্য “কিল সুইচ” রাখার ব্যাপারটিও উঠে এসেছে।
এ ব্যাপারে ফেইসবুক মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এটিতো পুরোনো খবর যে, নির্বাচনের শেষ সময়ে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে বড় পরিসরে নানাবিধ অপশন রাখার চিন্তা করছি আমরা।”
গত বছর ফেইসবুক প্রতিদ্বন্দ্বী টুইটারও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু ফেইসবুক রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল।
হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জাড ডিয়ার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমাদের নির্বাচনের সুরক্ষা ও অখণ্ডতা নিশ্চিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার কাজ অব্যাহত রাখবেন।”
অন্যদিকে, ট্রাম্প নির্বাচনী শিবিরের মুখপাত্র সামান্থা জ্যাগার বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ঠেকাতে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কতদূর যেতে পারে, তার কোনো সীমা নেই। ফেইসবুক একটি সামাজিক মাধ্যম ওয়েবসাইট – নির্বাচনী ফলাফলের বিচারক নয়।