পুরোনো আইফোন ধীরগতির করে দিচ্ছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল – এমন অভিযোগে ‘ক্লাস অ্যাকশন’ মামলা দায়ের হয়েছিল মার্কিন আদালতে। আদালতের বাইরে ওই মামলাটির সমঝোতা করতে সম্প্রতি ৫০ কোটি ডলার দিতে রাজি হয়েছে অ্যাপল।
Published : 03 Mar 2020, 06:04 PM
অভিযোগ ২০১৭ সালেই স্বীকার করে নিয়েছিল অ্যাপল। আইওএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে পুরোনো কিছু মডেলের আইফোন ধীরগতির হয়ে গিয়েছিল জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই আইফোনগুলোর ব্যাটারি পাল্টে দেওয়াসহ আইওএস আপডেট করে দিয়েছিল এবং স্বচ্ছতা ঠিক না রাখায় ক্ষমা চেয়েছিল। তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। সাম্প্রতিক সমঝোতা প্রস্তাবে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্থ আইফোন বাবদ ভোক্তাকে ২৫ ডলার দেওয়ার কথা বলেছে অ্যাপল। শুক্রবার ওই প্রস্তাবের বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। -- খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের।
সবমিলিয়ে কম করে হলেও ৩১ কোটি ডলার গুণতে হতে পারে অ্যাপলকে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক আইফোন ৬, ৬ প্লাস, ৬ এস, ৬এস প্লাস বা এসই মালিকরা এর আওতায় পড়বেন। তবে, তাদের ডিভাইসটিকে আইওএস ১২.২.১ বা পরবর্তী সংস্করণের আইওএস চালিত ডিভাইস হতে হবে। আইওএস ১১.২ বা ডিসেম্বর ২১-এর পূর্বে আসা আইওএস সংস্করণের আইফোন ৭ এবং ৭ প্লাস মালিকরাও অ্যাপলের নতুন সমঝোতা প্রস্তাবের আওতায় পড়বেন।
বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি অ্যাপল। মামলা চলাকালে নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করেনি প্রতিষ্ঠানটি। অ্যাপলের মতে, হুট করে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকাতে ও কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে ধীরগতি করে দেওয়া হয়েছিল ফোনগুলোকে।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে তার কোনোটাই নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। উল্টো সব সমস্যাই দেখা গেছে ফোনে।
অ্যাপলের প্রস্তাবিত সমঝোতা প্রস্তাবে নর্দান ডিস্ট্রিক্ট অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট বিচারক এডওয়ার্ড ডেভিলার সম্মতি লাগবে বলে উল্লেখ করেছে সিনেট।