ফেইসবুক ব্যবহারকারী নন এমন ব্যক্তির তথ্যও সংগ্রহ করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি। এই তথ্য সামাজিক মাধ্যমটির ডেটা প্রাইভেসি নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
Published : 16 Apr 2018, 10:22 PM
কারও অ্যাকাউন্ট থাক বা না থাক তার তথ্য প্রতিষ্ঠানটি সংগ্রহ করে বলে সম্প্রতি স্বীকার করেছেন ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। তার এই বক্তব্যের পর ফেইসবুকের ডেটা প্রাইভেসি নিয়ে থাকা উদ্বেগ আরও বিস্তৃত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশের পর ফেইসবুকের ডেটা প্রাইভেসি নিয়ে নতুন উদ্বেগের জন্ম দেয়।
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের সামনে জাকারবার্গ বলেন, নিরাপত্তার কারণে ফেইসবুক এতে “সাইন-আপ করেনি এমন মানুষদের ডেটাও সংগ্রহ করে।” সঙ্গে সঙ্গেই এমন চর্চার প্রতিবাদ জানান আইনপ্রণেতা আর প্রাইভেসিবিষয়ক আইনজীবীরা। ব্যবহারকারী নন এমন মানুষদের সম্পর্কে ফেইসবুক কী জানে তা ওই মানুষদেরকে জানানোর জন্য একটি পন্থা বানানো দরকার বলেও মত দেন কেউ কেউ।
ডেমোক্রেট দলীয় প্রতিনিধি বেন লুজান বলেন, “এটি আমাদেরকে সমাধান করতে হবে।” বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য নির্ধারণে প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতার যে বিষয়গুলো স্পষ্ট নয় সেগুলো প্রকাশ করতে আহ্বান জানান তিনি। এর কোনো জবাব দেননি জাকারবার্গ।
শুক্রবার ফেইসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয় এ ধরনের টুল বানানোর কোনো পরিকল্পনা ফেইসবুকের নেই।
সমালোচকরা বলেছেন, জাকারবার্গ এই ডেটার ব্যবহার সম্পর্কে যথেষ্ট কিছু জানাননি। সেন্টার ফোর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড টেকনলোজি’র নীতিমালাবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস ক্যালাব্রেস বলেন, “ফেইসবুক এই তথ্য নিয়ে কী করে তা স্পষ্ট নয়।”
কোনো ব্যবহারকারী তার বন্ধুদের ইমেইল আইডি আপলোড করলে বা প্লাটফর্মে এমন কারও কোনো তথ্য দিলে যিনি ফেইসবুক ব্যবহার করছেন না, ওই ব্যবহার না করা ব্যক্তির তথ্যও রেখে দেয় ফেইসবুক।
রয়টার্স-কে ফেইসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এই ধরনের ডেটা সংগ্রহ ইন্টারনেট যেভাবে কাজ করে তার ভিত্তি।”
ফেইসবুক প্রায়ই ব্যবহারকারী নন এমন ব্রাউজাররা যদি ‘লাইক’ আর ‘শেয়ার’ বাটনের সঙ্গে ফেইসবুক ভিজিট করেন তবে তাদের তথ্যও সংগ্রহ করা হয়, তিনি বাটন না চাপলেও। ফেইসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্লেষণা প্রতিবেদন বানাতেই এই ডেটা সংগ্রহ করা হয়।
আরও খবর-