বৈঠকে জাকারবার্গ-এর কথা থেকে আরও যেসব কথা উঠে আসে, তা হলো-
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করতে রাশিয়ার চেষ্টা নিয়ে অভিযোগের তদন্তকারী বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলার ফেইসবুক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলেও জানান জাকারবার্গ। মুলার-এর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করা ফেইসবুক কর্মীদের মধ্যে নিজে ছিলেন না বলেও জানান তিনি। তবে, তিনি বলেন, “বিশেষ কাউন্সেলের সঙ্গে আমাদের কাজ গোপন আর একটি উন্মুক্ত সেশনে আমি গোপন কিছু প্রকাশ করব না তা নিশ্চিত করতে চাই।“
চলতি বছর জানুয়ারিতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে মুলার-এর কার্যলয় থেকে ১৩ রুশ ব্যক্তি আর তিনটি রুশ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়।
এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইন্টারনেট রিসার্চ এজেন্সি, এই সংস্থাকে ‘রাশিয়ান ট্রল ফার্ম’ হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয় বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো শনাক্তে তার প্রতিষ্ঠান নতুন টুল বানাচ্ছে বলে দাবি করেন জাকারবার্গ। তিনি বলেন, “রাশিয়ায় এমন মানুষ আছে যাদের কাজ হচ্ছে আমাদের ব্যবস্থা, অন্যান্য ইন্টারনেট ব্যবস্থা আর অন্য ব্যবস্থাগুলোও কাজে লাগাতে চেষ্টা করা। এই সব ক্ষেত্রে উন্নত করতেও আমাদেরকে বিনিয়োগ করতে হবে।“
চাপের মুখে ৩৩ বছর বয়সী এই ধনকুবের প্রযুক্তি নেতা বলেন, যে কোনো নীতি নির্ধারণ তিনি মেনে নেবেন, যদি তা ‘সঠিক নীতিমালা’ হয়, যদিও তিনি এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি।
এই শুনানি শুরু হওয়ার প্রথম বিরতির মধ্যে ফেইসবুকের শেয়ারমূল্য প্রায় পাঁচ শতাংশ বেড়ে যায়। এ হিসেবে জাকারবার্গ-এর মোট সম্পদের পরিমাণও বাড়ে তিনশ’ কোটি ডলার।