‘সহিংস চরমপন্থী প্রজ্ঞাপন’-এর সার্চ করলে ব্যবহারকারীদের রিডাইরেক্ট করা হবে ও সন্ত্রাসবাদের সমালোচনা করা হয়েছে এমন ভিডিও দেখানো হবে, এমনটাই বলেছে বিনামূল্যের ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউব।
Published : 22 Jul 2017, 05:39 PM
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট সম্পর্কিত নির্দিষ্ট শব্দ দিয়ে কেউ সার্চ করলে তাদেরকে “এর পেছনের কাহিনী সম্বলিত” ভিডিও’র প্লেলিস্ট দেখানো হবে, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
ইউটিউবের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা মানুষকে মৌলবাদী হয়ে উঠা থেকে রক্ষা করতে চায়। প্রতিষ্ঠানটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটিকে বলে, আইএস-এর প্রজ্ঞাপন সম্পর্কিত কোনো কনটেন্ট আপলোড করা ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির শর্ত ও নীতিমালা বিরোধী।
এক ব্লগপোস্টে অ্যালফাবেট অধীনস্থ এই ভিডিও স্ট্রিমিং জায়ান্টটি বলে, তারা রিডাইরেক্ট মেথড থেকে ধারণা নিয়ে কাজ করছিল। রিডাইরেক্ট মেথড হচ্ছে একটি প্রচারণা যেখানে আইএস সম্পর্কিত ভিডিও যেটায় দেখানো হয়েছে এই গোষ্ঠী কীভাবে নিয়োগ দেয় তা দেখানো হবে।
নিজেদের বিভিন্ন ভিডিওতে আইএস দাবি করে তাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী আছে আর বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো মুসলিমদের ক্ষতি করতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। ইউটিউবের রিডাইরেক্ট করা প্লেলিস্টে এসব দাবিকে চ্যালেঞ্জ করা ভিডিও থাকবে।
নতুন কোনো কনটেন্ট তৈরি নয়, প্লেলিস্টে ইতোমধ্যে ইউটিউবে আপলোড করা আইএস বিরোধী ভিডিওগুলোই থাকবে।
রিডাইরেক্ট মেথড-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশেষভাবে বানানো নতুন কনটেন্টের চেয়ে বর্তমানে থাকা ভিডিওগুলো বেশি কার্যকরী। এর কারণ হচ্ছে এগুলো বেশি বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রচারণা সংস্থাটি থেকে বলা হয়, “সরকার বা পশ্চিমা সংবাদ সংস্থাগুলোর বানানো কনটেন্ট ‘ফেইস ভ্যালু’র কারণে প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে, মনে হবে এগুলো মুসিলমবিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রচার করা হচ্ছে।” সংস্থাটির মতে, সাধারণ ব্যবহারকারীডের আপলোড করা ভিডিও “আমাদের চিহ্নিত দর্শকরা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করবে না।”
ইউটিউব বলেছে, এখন শুধুই কিছু নির্দিষ্ট ইংরেজি শব্দ নিয়ে সার্চ দিলেই তা রিডাইরেক্ট করা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে আরবিসহ অন্যান্য ভাষার শব্দও যুক্ত হবে।
এই প্রকল্পে আর কোনো শব্দ যোগ করা উচিৎ কিনা তা অ্যালগরিদমের সহায়তায় ঠিক করা হবে। আর নতুন দেখানো প্লেলিস্ট মানুষ দেখছে করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে ইউটিউব।
সন্ত্রাসী প্রজ্ঞাপন সম্পর্কিত কিছু সার্চ করা হলেই রিডাইরেক্ট করা হবে। বাদ পড়বেন না শিক্ষক, গবেষক ও সাংবাদিকরাও।