নিজেদের বানানো প্রথম থ্রিডি প্রিন্টারের অর্ধেক যন্ত্রাংশই থ্রিডি প্রিন্টেড ছিল বলে জানান কম্পিউটার ও আনুষাঙ্গিক সামগ্রী নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান এইচপি'র থ্রিডি প্রিন্টিং প্রধান স্টিফেন নিগ্রো।
Published : 05 Oct 2016, 08:34 PM
চলতি বছরের শেষে শুরু হবে প্রতিষ্ঠানটির আরও নতুন দুই ডিভাইস বিক্রি। এই ডিভাইসগুলোতে থ্রিডি-প্রিন্টেড যন্ত্রাংশ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তাদের থ্রিডি প্রিন্টারের আউটপুটের মান সবার দৃষ্টিগোচর করা যাবে, জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান। তবে, এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরিই আর্থিক দিক বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে বলে জোর দিয়েছেন নিগ্রো।
নিগ্রো জানান, কেউ যদি ৫৫ হাজারটির কম কোনো প্লাস্টিকের ছোট যন্ত্রাংশ বানাতে চান, সেক্ষেত্রে ঢালাইয়ের চেয়ে প্রিন্টিংয়ে কম খরচ লাগবে। তিনি বলেন, "কারণটা এই না যে আমরা পারি, যদিও নিশ্চিতভাবে এটি একটি কারণ হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, আমাদের উচিৎ, প্রকৃতপক্ষে এটি ওই যন্ত্রাংশগুলো তৈরিতে আমাদের আর্থিক ধারণা দিয়েছে; আমরা আসলে অর্থ বাঁচাতে পারি।"
নিগ্রো বলেন, "যন্ত্রের প্লাস্টিকের অংশগুলোর আনুমানিক অর্ধেকই থ্রিডি প্রিন্টেড হতে যাচ্ছে।" তিনি জানান, এইচপি কী পরিমাণ থ্রিডি প্রিন্ট করতে পারে তা জেনে প্রতিষ্ঠানটি অবাক হয়েছে। "কারণ, আমরা উন্নয়ন চক্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আর আমাদের এমন লক্ষ্য রয়েছে- 'ঠিক আছে, আমরা চাই প্রিন্টারে এমন কিছু যন্ত্রাংশ থাকবে যা প্রিন্টারই নিজে প্রিন্ট করবে', কারণ আমরা মনে করি প্রিন্টার নিজের নিজেরটা প্রিন্ট করার বিষয়টি চমৎকার হবে", যোগ করেন তিনি।
থ্রিডি প্রিন্টারই একটি থ্রিডি প্রিন্টারকে থ্রিডি প্রিন্ট করতে পারবে, এমন ধারণাটি নতুন নয়। ২০০৫ সালে, নিজেই নিজের প্রতিরূপ যন্ত্র বানাতে পারবে এমন যন্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যে 'রিপর্যাপ প্রজেক্ট' নামে একটি ওপেন-সোর্স মুভমেন্ট শুরু হয়। ওই প্রকল্পে নিজের প্রতিরূপ বানাতে পারবে এমন একটি থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করার পরিকল্পনা জানানো হয়, যদিও পরে তা আর সফল হয়নি।