যোগাযোগ ত্রুটির কারণে গ্রেফতার হয়েছেন ১৩ জন নির্দোষ ব্যক্তি, সম্প্রতি এমন তথ্য দিয়েছে এক নজরদারী প্রতিষ্ঠান।
Published : 09 Sep 2016, 06:10 PM
ইন্টারসেপশন অফ কমিউনিকেশনস কমিশনার-এর এক প্রতিবেদনে দেখা যায় এই গ্রেফতারগুলো ২৩টি মারাত্মক ভুলের কারণে হয়েছে। এতে ৭৬১৭০২টি তথ্য ভুল ছিল বলে জানিয়েছে, বিবিসি। এই ভুলগুলো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অথবা যোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ত্রুটির কারণে হয়েছে বলেও জানানো হয়।
তদন্তের জন্য কোথায় এবং কখন যোগাযোগ করা হয়েছে সেই তথ্য বিচার করা হয়, কিন্তু সেগুলোর উপাদান বিচার করা হয় না। ভুল হওয়া মামলাগুলোয় দেখা যায় এর বেশির ভাগই শিশু নির্যাতন বিষয়ক। এক্ষেত্রে যে তথ্যগুলো তদন্ত করা হয় সেগুলো প্রায়ই ইন্টারনেটের ঠিকানা থেকে নেওয়া হয়, যেগুলো ভুল ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ২৩টি গুরুতর ভুলের মধ্যে ১৪টি মানুষের ভুল এবং বাকি নয়টি প্রযুক্তগত “সিস্টেমের ত্রুটি”।
কমিশনার স্যার স্ট্যানলি বার্নটন এর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, "এ সমস্ত মামলায় ভুলভাবে যেকোনো আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হলে, যিনি তদন্তের সঙ্গে কোনভাবে সম্পৃক্ত নন এমন কারও বাড়িতে তল্লাশি চালানো হলে অথবা কারও মঙ্গলের জন্য তদন্তে দেরি হলে অথবা কোনো ব্যাক্তির জীবনের হুমকি থাকলে এটির মারাত্মক পরিণাম ঘটতে পারে।"
গত বছর সর্বমোট ১১৯৯টি যোগাযোগের তথ্য ভুলের হিসাব দেয় নজরদারী প্রতিষ্ঠান। যেটি আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৮৬ শতাংশ ভুল সরকারী কর্মচারীর, ১২.৬ শতাংশ যোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং ০.৮ শতাংশ অন্যান্য পক্ষের বলে জানানো হয়।
এ সকল ত্রুটির ৯৪ শতাংশই পুলিশ এবং আইন প্রণয়নকারী সংস্থার ভুল। আর বাকি ছয় শতাংশ গোয়েন্দা সংস্থার ভুল বলে উল্লেখ করা হয়।