এলাকাভিত্তিক চাহিদার ধরণ ভিন্ন এবং সেই অনুযায়ী যোগানও ভিন্ন হওয়া প্রয়োজন, বলেন নসরুল হামিদ।
Published : 13 May 2024, 01:16 AM
বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুসারে এলাকাভিত্তিক বিনিয়োগের মহাপরিকল্পনা করতে জাপানের অর্থায়নকারী সংস্থা জাইকার সহযোগিতা চেয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার সচিবালয়ে জাইকার অভ্যন্তরীণ উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি তাৎসুফুমি ইয়ামাগাতা এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন।
এ সময় দুই পক্ষের আলাপচারিতায় প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা সাজাতে নতুন বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অঞ্চলভিত্তিক শিল্পায়ন হচ্ছে। এলাকাভিত্তিক চাহিদার ধরণ ভিন্ন এবং সেই অনুযায়ী যোগানও ভিন্ন হওয়া প্রয়োজন। এসব বিবেচনায় নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা সাজাতে হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নতুন বিনিয়োগের প্রস্তাব আসার কথা তুলে ধরে নসরুল হামিদ বলেন, সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র করার কিছু প্রস্তাব এসেছে। এলএনজি টার্মিনাল করার বিষয়ে আলোচনা অনেক এগিয়েছে।
জ্বালানির চাহিদা বাড়ায় তিনি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন।
জাইকার কর্মকর্তা তাৎসুফুমি ইয়ামাগাতা বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে, যা সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ভালো। চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে পারে।
জাইকার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও জেট্রোর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইয়ুমি মুরায়ামা বলেন, “ঢাকার চমৎকার সমৃদ্ধি দেখে আমি মোহিত। শিল্পায়নের বৈচিত্রময়তা ও বিনিয়োগের পরিবেশ, জ্বালানি হাব নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশে।”
বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, জাইকা সদর দপ্তরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক জন সাওতম, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহাইদ ইচিগুচি, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক ফুমিহিকো সেটা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।