অ্যামাজন তার প্রতিদ্বন্দী ওপেনএআই এবং অ্যালফাবেটকে টক্কর দিতে একটি উচ্চাভিলাষী লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে ঢালছে বিশাল অংকের অর্থ।
‘অলিম্পাস’ কোডনেমের নির্মাণাধীন মডেলটিতে রয়েছে ২০ হাজার কোটি পেরিমিটার, যেটি সম্ভবত এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় এআই মডেল বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন এ বিষয়ে অবগত দুজন ব্যক্তি। যেখানে বাজারে থাকা এখন পর্যন্ত সেরা মডেল হিসাবে বিবেচিত ওপেনেআইয়ের জিপিটি ৪-এর পেরিমিটারের সংখ্যা ১০ হাজার কোটি।
প্রকল্পটির ব্যাপারে এখনও জনসম্মুখে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি অ্যামাজন, সূত্র দুজনও তাদের পরিচয় গোপন রেখেছেন। প্রকল্পের ব্যাপারে অ্যামাজনকে জিজ্ঞেস করা হলে, কোম্পানিটি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
প্রকল্পটি নেতৃত্ব দিচ্ছেন অ্যালেক্সার সাবেক প্রধান রোহিত প্রসাদ, যিনি সরাসরি কোম্পানিটির সিইও অ্যান্ডি জ্যাসির তত্ত্বাবধানে কাজ করে যাচ্ছেন। অ্যামাজনের জেনারেল এআই বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী হিসাবে প্রসাদ মডেলটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য অ্যালেক্সা এআই দল এবং অ্যামাজন বিজ্ঞান দলকে একত্র করেছেন।
এরইমধ্যে টাইটানের মতো ছোট মডেলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে অ্যামাজন। সেইসঙ্গে কোম্পানিটি অ্যানথ্রপিক এবং এআই২১ ল্যাবসের অংশীদ্বারিত্বের মাধ্যমে তার গ্রাহকদেরকে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিওএস) সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়িক গ্রাহকরা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মডেল ব্যবহার করতে চান, তাই, সূত্রানুসারে নিজেদের তৈরি মডেলের মাধ্যমে এডব্লিওএস সেবাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবে বলে বিশ্বাস করে অ্যামাজন।
যে কোনো এআই মডেলের পেছনের প্রযুক্তির হচ্ছে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল, যেগুলো বিশাল ডেটা সেট থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের মতো জবাব দিতে পারে।
বড় মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দিতে উচ্চমাত্রার কম্পিউটিং ক্ষমতা লাগে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এপ্রিলে প্রকাশ করা আয় বিবরণীতে কোম্পানিটি খুচরা ব্যবসা এবং এর পারিবহন খাতে ব্যয় কমিয়ে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল এবং এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বলেছিল।