একজন ব্যবহারকারী এক্স পোস্টে লিখেছেন, “আমি ইলন মাস্কের একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি সপ্তাহে একবার করে মেসেজ পাই। তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেন”।
Published : 08 Apr 2025, 06:13 PM
ভুয়া বা প্যারোডি অ্যাকাউন্ট বন্ধে আরও কঠোর নিয়ম আনছে ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স।
যেসব অ্যাকাউন্ট অন্য ব্যবহারকারী বা ব্যক্তির ছদ্মবেশ ধরে এক্স অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছে বা প্লাটফর্মটিতে বিভান্তি ছড়াচ্ছে তাদের অ্যাকাউন্টের নামের শুরুতে ১০ এপ্রিল থেকে ‘ভুয়া’ বা ‘প্যারোডি’র মতো শব্দ ব্যবহার করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।
প্যারোডি অ্যাকাউন্টধারীদের বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্টের ছবিতে তাদের নিজেদের ছবি ব্যবহার করতে বাধ্য করবে প্ল্যাটফর্মটি, যাতে তাদের আসল পরিচয় জানা যায় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
প্ল্যাটফর্মটিতে বিভিন্ন প্যারোডি অ্যাকাউন্টের কারণে তৈরি বিভ্রান্তি সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন কিছু এক্স ব্যবহারকারী, যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির মালিক ইলন মাস্কের ছদ্মবেশ ধারণকারী অ্যাকাউন্টও রয়েছে।
শনিবার এক পোস্টে এক্স বলেছে, “এসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে ব্যবহারকারীদের ভুয়া বা প্যারোডি অ্যাকাউন্টের অননুমোদিত প্রকৃতি আরও ভালোভাবে বুঝতে ও বিভ্রান্তি বা ছদ্মবেশ ধারণের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করার জন্য।”
১০ এপ্রিলের মধ্যে এসব অ্যাকাউন্টকে তাদের প্রোফাইল আপডেট করতেও উৎসাহিত করেছে এক্স। কোম্পানিটি বলেছে, এসব পরিবর্তন ফ্যান ও ধারাভাষ্য অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
এক্স-এর এমন পোস্টের জবাবে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আশা করি এসব নিয়মের মধ্যে ইলন মাস্কের অ্যাকাউন্টের হাজার হাজার ভুয়া সংস্করণও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
আরেকজন ব্যবহারকারী এক্স পোস্টে লিখেছেন, “আমি ইলন মাস্কের একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি সপ্তাহে একবার করে মেসেজ পাই। তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেন”।
প্ল্যাটফর্মটিতে মাস্কের বেশ কয়েকটি প্যারোডি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যারা বিভিন্ন উপায়ে নিজেদেরকে ছদ্মবেশী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
জানুয়ারিতে বিভিন্ন প্যারোডি অ্যাকাউন্টের জন্য লেবেল চালু করে এক্স, যেখানে নিয়ম অনুসারে বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি বিভিন্ন প্যারোডি অ্যাকাউন্টধারীদের তাদেরকে সেই হিসেবেই পরিচয় দিতে বাধ্য করে প্লাটফর্মটি।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির এ ধরনের পদক্ষেপের কার্যকারিতা বিতর্কিত রয়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, এসব ব্লু টিকওয়ালা অ্যাকাউন্টও তাদের অনলাইন কনটেন্টের নিয়ম লঙ্ঘন করছে এবং প্লাটফর্মটির ‘ভেরিফিকেশন’ ব্লু টিক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও ব্যবহারকারীরা ‘প্রতারিত’ হতে পারেন।
জবাবে ইইউ’র বিভিন্ন নীতিমালাকে ‘ভুল তথ্য’ বলে বর্ণনা করেছিলেন মাস্ক।
এর আগে, ২০২২ সালের নভেম্বরে টুইটার অধিগ্রহণের পর টেসলা’র প্রধান নির্বাহী মাস্ক বলেছিলেন, লেবেলবিহীন ছদ্মবেশধারী বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হবে প্লাটফর্মটিতে।