প্রতিবেশী দেশটিতে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
Published : 17 Apr 2025, 11:21 PM
ভারতের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর যেকোনো প্রচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
একই সঙ্গে তিনি প্রতিবেশী দেশটিতে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব তার পোস্টে লেখেন, “মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে বাংলাদেশকে জড়ানোর যে কোনো প্রচেষ্টাকে আমরা জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা মুসলমানদের ওপর হামলা এবং তাদের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির তীব্র নিন্দা জানাই। সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।”
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ওয়াক্ফ (সংশোধিত) আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে গত ১১ এপ্রিল মুর্শিদাবাদে সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়েছেন, গ্রেপ্তার করা হয় ১১৮ জনকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওয়াক্ফ সংশোধিত আইন বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি চলে। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো, যানবাহন ও বাইক ভাঙচুরের মত একাধিক ঘটনায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে শাজুরমোড় ও ধুলিয়ান সংলগ্ন এলাকায়।
পরদিন সকাল থেকে মুর্শিদবাদেরও সব এলাকায় মোটামুটি শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে। যদিও পরিস্থিতি এখনও থমথমে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
বিবিসি বাংলার বুধবারের এক খবরে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের ওই সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় 'বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারী' জড়িত থাকার অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। একইসঙ্গে ওই সহিংসতার জন্য ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং বিজেপিকেও দায়ী করেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সঙ্গে কলকাতায় এক পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে বুধবার মমতা এসব কথা বলেন।
বিবিসি বাংলা বলছে, মমতা ওই সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে 'পূর্ব পরিকল্পিত দাঙ্গা' বলে অভিহিত করেছেন এবং বিজেপিকে নিশানা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তার বুধবারের বক্তৃতার বেশিরভাগ অংশটাই দেন হিন্দিতে। মনে হচ্ছিল যেন অ-বাংলাভাষী মুসলমানরাই তার ভাষণের প্রধান লক্ষ্য।
এর প্রত্যুত্তরে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে, মুর্শিদাবাদে সহিংসতার অভিযোগে যে ২০০র বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, সেই সংখ্যা প্রকাশ করা হোক।